কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র ১৫ মাসের ব্যবধানে জটিলতা ছাড়াই ১০০তম সিজারিয়ান অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটারে উপজেলার হিজলিয়া গ্রামের মোঃ ফাইজুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম এর ১০০তম সিজার সম্পন্ন হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩০ জুলাই ( শনিবার) সকাল সাড়ে ১০টায় হাসপাতাল কমপ্লেক্সের ওটিতে উপজেলার সৈয়দগাঁও গ্রামের কাশেম মিয়ার স্ত্রী মিম (২০) নামের এক প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শুরু হয় সিজারিয়ান অপারেশন।
গাইনি কনসালটেন্ট ডা. শাহ মুহাম্মদ হাসানুর রহমান, এনেস্থিসিয়োলজিস্ট ডা. ফারজানা জামান পুনম, মেডিকেল অফিসার ডা. সুমাইয়া রহমান ও ওটি ইনচার্জ সেলিনা বেবী’র তত্ত্বাবধানে ১০০ তম সিজার সম্পন্ন হয়।
দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে তাৎক্ষণিক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে আনন্দ-উচ্ছ্বাস নিয়ে অংশগ্রহণ করেন সকল চিকিৎসক, সেবক-সেবিকা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন ডা. নূর-এ আলম খান। তাঁর যোগদানের পর থেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চেহারা পাল্টে যেতে শুরু করে।
চিকিৎসক ও সরঞ্জাম সংকট কাটিয়ে স্বাস্থ্য কমেেপ্লক্সটি এখন সাধারণ মানুষের নির্ভরতায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৭৫০-৮০০ নারী-পুরুষ ও শিশু হাসপাতালটি থেকে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর-এ আলম খান বলেন, মাত্র পনেরো মাসের ব্যবধানে শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার হিজলিয়া গ্রামের মোঃ ফাইজুল ইসলাম স্ত্রী মরিয়ম এর জটিলতা ছাড়াই ১০০তম সিজারিয়ান অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। বিনামূল্যে তারা হাতের কাছে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।
এজন্য আামি হাসপাতালে কর্মরত সকল চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানাই। তাদের সকলের আন্তরিকতায় সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
যাযাদি/এসএস