সিলেট-২ আসনে আ‌‘লীগের মনোনয়ন কিনলেন ৮ জন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ক্রয় করেছেন ৮ জন।  

ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন ক্রয়কারীদের মধ্যে একজন সাবেক সাংসদ, যুবনেতাসহ একাধিক প্রবাসী সংগঠক রয়েছেন। মহাজোটকে পাস কাটিয়ে দলীয় মনোনয়ন ভাগিয়ে নিতে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে দৌড়-ঝাপ। অনেকেই রয়েছেন কৌশলে। 

পর পর ৩ বার মহাজোট ক্ষমতায় থাকলেও এই আসনে প্রধান দল আওয়ামী লীগের এমপি  ছিলেন মাত্র একবার। আসন ভাগাভাগিতে ২ বার এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী ছিলেন জাপার ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া। 

অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী না থাকায় এ এলাকা উন্নয়ন বঞ্চিত রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত নির্বাচনে আসনটি মহাজোটের হাতছাড়া হওয়ায় আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী  দিয়ে পুণরুদ্ধারের চেষ্টা চালাতে পারে।  তাই দলীয় মনোনয়ন ফরম ক্রয়ের হিড়িক পড়েছে সিলেট-২ আসনে। 

সূত্রে জানা যায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনিবাহী সদস্য নুরুল ইসলাম নুর মিয়া, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, একুশে পদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও লেখক অরূপ রতন চৌধুরী, বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া, যুক্তরাজ্য নিউপোর্ট আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোহাম্মদ  হারুন অর রশীদ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা আনসার আলী ও আব্দুল গণি।

এদিকে, সিলেট-২ (ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ) এই আসনে বিগত দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটের কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অংশ না নেয়ায় আসনটি জাপা ও গণফোরামের দখলে চলে যায়। দ্বাদশ নির্বাচনে আসনটি পূণরুদ্ধারে আওয়ামী লীগ সচেষ্ট থাকলেও একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকায় বাড়তে পারে দলীয় কোন্দল।

মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকার গ্রামকে শহরে রূপান্তর করছে, কিন্তু সিলেট-২ আসনের গত দশ বছরে দেখার মতো কোনো উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়নের স্বার্থে আগামী নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। যাকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হবে জয় পেতে তার পক্ষে কাজ করবেন তারা।

যাযাদি/ এম