ঝিনাইদহের পৃথক দুই স্থান থেকে বস্তাবন্ধি ও বৈদ্যতিক পিলারের সাথে গলা রশি পেচানো দুই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রোববার সকাল ১১ টার দিকে শহরের ধোপাঘাটা পুরাতন ব্রীজ এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে অমিত সাহা (৩৫) নামের এক ব্যক্তির বস্তাবন্দী অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনদিন আগে ৩১ আগস্ট সে নিখোঁজ হয়। সে মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের বাসিন্দা। ঝিনাইদহ শহরের কচাতলা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতো।
অপরদিকে রোববার সকাল ১০টার দিকে ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের বারোবাজারের আমজাদ আলী ফিলিং স্টেশনের পাশের গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় একটি বৈদ্যুতিক পিলার থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত ব্যক্তির নাম গোকুল চন্দ্রে কর্মকার (৩২)। গোকুল ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলায় জীবন চন্দ্র কর্মকারের ছেলে বলে জানা গেছে। কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান জানান, সকালে পথচারীরা রাস্তার পাশে অর্ধগলিত একটি বস্তাবন্দী মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ঠিক কি কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। হত্যার কারন উৎঘাটনে তদন্ত করছে পুলিশ।
এদিকে নিহতের স্ত্রী তৃষা নন্দী জানান, আমার স্বামী অমিত সাহা ডিসি অফিস সংলগ্ন এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসা করতো। সেই সুত্রে সদর উপজেলার হাটগোপালপুর এলাকার রাজনুর হোসেনের সাথে পরিচয় হয় এবং আমাদের বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু করে। এরই মধ্যে অমিত ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কিছু টাকা দেনা হয়ে যায়। এটা শোধ করতে পারছিলনা সে। কিন্তু রাজনু তার দেনার টাকা পরিশোদের আশ্বাস দেয়। তবে এরমধ্যে রাজনু আমাকে নানাভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকে। ফোনে ম্যাসেজও দিত। এটা স্বামীকে দেখালে সে বলে আমরা গ্রামে চলে যাবো ব্যবসা ছেড়ে। তখন রাজনু আমার স্বামীকে বলে তোকে বাজার করে খাওয়াচ্ছি তুই এমন করবি কেন, গ্রামে যাবি কেন।
তিনি আরো জানান, পরবর্তিতে ৩১ আগস্ট বিকালের দিকে এসে রাজনু আমার স্বামী অমিত কে বাসায় এসে ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তিতে তাকে খুজে না পেয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত রাজনুর হোসেন সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি বলে জানা গেছে।
যাযাদি/ এসএম