ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিহাব-(২৮) নামে এক যুবকের দায়ের কোপে আরজুদা বেগম-(৭৫) নামে এক নারী নিহত এবং অপর ৬জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের সাবর বাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত আরজুদা বেগম ওই এলাকার মৃত আলী আকবরের স্ত্রী।
আহতরা হলেন, রাবেয়া বেগম-(৫০), খালেদা বেগম-(৪৪), সাজু মিয়া -(৫০), মুখলেছ মিয়া-(৪৫), নয়ন মনি-(১৪) ও পপি-(৩৫)। তাদের সবার বাড়ি ভাদুঘর গ্রামে। আহতদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নয়নমনি নামে এক কিশোরীকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ঘাতক শিহাবকে গ্রেপ্তার করেছে। সে ভাদুঘর গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায় শিহাব একজন নারী বিদ্বেষী যুবক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হাসপাতালে আহত নয়নমনি জানায়, বুধবার বেলা ১১টার দিকে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশের একটি পুকুরে যাওয়ার সময় শিহাব আমাকে দা দিয়ে মাথায় আঘাত করলে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। পরে বাড়ির লোকজন আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
হাসপাতালে আহতদের সাথে আসা জুনায়েদ নামে এক যুবক জানান, শিহাব এক সময় মাদরাসায় পড়াশুনা করতো। সে রাস্তা-ঘাটে নারী ও মেয়েদের দেখলেই গালাগালি করতো। সে ছিলো নারী বিদ্বেষী। আগেও একবার সে মহিলাদেরকে মারধোর করেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম বলেন, শিহাব ভাদুঘর এলাকার একটি মাদরাসায় পড়াশুনা করতো। কয়েক বছর ধরে তার পড়াশুনা বন্ধ। সে নারী বিদ্বেষী ছিলো। নারী ও মেয়েদের দেখলেই গালাগাল করতো। গত বছরও সে কয়েকজন নারীকে কুপিয়ে আহত করে। বুধবার দুপুরেও সে দা নিয়ে ৭জনকে কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা শিহাবকে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরজুদা বেগম ও নয়ন মনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হলে আরজুদা বেগম পথিমধ্যে মারা যান। নয়নমনিকে বিকেলে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। বাকীদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, আমরা ঘাতক শিহাবকে গ্রেপ্তার করেছি। তার বাড়ির লোকজন ঘটনার পরপরই পালিয়ে গেছে। তিনি বলেন, শিহাবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে নারী বিদ্বেষী কথাবার্তা বলছে। আরজুদা বেগমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হচ্ছে।
যাযাদি/এসএস