শেরপুরের জেলার ব্রান্ডিং প্রোডাক্ট 'তুলসিমালা' চাল

শেরপুর জেলাকে বর্তমানে ব্রান্ডিং করা হচ্ছে “ পর্যটনের আনন্দ ,তুলসিমালার সুগন্ধ”

প্রকাশ | ০২ মার্চ ২০২৩, ১৯:০১

শেরপুর প্রতিনিধি

তুলসীমালা দেখতে যেমন ছোট ও মিহি, তেমনি এর রয়েছে বাহারি সুগন্ধ । তুলসীমালাকে ‘জামাই আদুরি’ চাল নামেও ডাকা হয়ে থাকে। নতুন জামাই এলেই শ্বশুরবাড়িতে অবধারিতভাবে রান্না হবে তুলসীমালার ভাত, পোলাও, খিচুড়ি, পায়েস বা পিঠা। তুলসীমালা চাল রান্না হলেই মন্ডম সুগন্ধে ছেয়ে যাবে চারিপাশ। আর এ চালের তৈরী ভাত, পোলাও অথবা খিচুড়ি খাওয়ার পরেও চার-পাঁচ ঘণ্টা হাতে সুগন্ধ লেগে থাকবে।

১লা মার্চ(বুধবার)বিকেল ৪টায় শেরপুর শহরের শিতলপুর এলাকায় কলিমদ্দিন অটো রাইচ মিলে শেরপুর জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উদ্যেগে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)মুকতাদিরুল আহমেদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার ব্যান্ডিং পণ্য তুলসিমালা চালের মোড়কীকরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

পূর্বে অভিজাত শ্রেণির কৃষকগণ এই ধান উৎপাদন করতেন। শেরপুর জেলার জমিদাররা এই চালের সুস্বাধু খাবারই অভ্যস্থ ছিলেন।জমিদারদের বাড়িতে ইংরেজরা আসলে তুলশীমালা চালের নানা ধরনের বাহারি খাবার পরিবেশন করা হতো। যাওয়ার সময় ইংরেজদের খুশি করতে উপহার স্বরূপ কিছু তুলশীমালা চাল গাড়িতেও তুলে দেওয়া হতো। দূরের বা নিকটের প্রিয়মুখদের খুশি করতে তুলশীমালা চাল উপহার দেওয়ার রীতি এখনও শেরপুরে বিদ্যমান।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক ড. সুকল্প দাস,নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবীর,শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান রহমান সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।


যাযাদি/এসএস