কিশোরগঞ্জ জেলার এলজিইডির সবচেয়ে বড় সেতু নির্মাণ হচ্ছে হাওড় অধ্যাষিত ইটনা উপজেলার হাওড়ে। প্রায় এক'শ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৯০ মিটার এই সেতুটি নির্মান করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর এলজিইডির। এর ফলে আরোও একধাপ এগিয়ে যাবে হাওড়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা। উপকৃত হবে হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলা লক্ষ্ লক্ষ লোকজন। এই সেতু নির্মাণে ফলে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরসহ ময়মনসিংহ ও মহাসড়ক রাজধানী ঢাকাসহ দেশে ভিবিন্ন জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক হবে সহজ বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) ইটনা উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাষ্টপতি আবদুল হামিদ নামের প্রস্তাবিত এই সেতুটি হাওড় অধ্যাষিত ইটনা উপজেলার বাদলা ইউনিয়নের ধনু নদী তীরবর্তী বর্শিকুড়া হইতে শেরপুর গ্রাম পর্যন্ত ৫৯০ মিটার দৈর্ঘ্য এই সেতুটির কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে এবং শেষ হওয়া কথা রয়েছে ২০২৩ সালের জুনের দিকে এই সেতু নির্মাণ শেষ হাওয়ায় কথা এবং এই কাজে ব্যায় হবে প্রায় ৯৯ লাখ ৬০ টাকা। এই সেতুটি নির্মান করছে মেসার্স মুমিনুল হক নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইটনা উপজেলার বাদলা ইউনিয়নে বর্শিকুড়া ও শেরপুরে অবস্থিত ধনু নদীর উপর দিয়ে ভয়ে যাওয়া সেতুর কাজ ইতিমধ্যে সবকয়টি পিয়ার (কলাম)বসানো শেষ করে পিয়ারের ক্লাভের কাজও প্রায় শেষের দিকে, ১৫ টি স্লাভের মধ্যে ৫ টি স্লাভের কাজ শেষ করে বাকি গুলোর কাজ চলছে এছাড়াও প্রায় দেড় কিলোমিটার সেতুর এ্যাপোচ সড়ক নির্মাণের কাজও শেষের দিকে।
শেরপুর গ্রামের কাসেম মিয়া বলেন, সেতুটির নির্মাণ শেষ হলে জেলা সদরসহ ময়মনসিংহ ও ঢাকার যাওয়ার সময় অনেক কম লাগবে। একই গ্রামের ষাটোর্ধ বৃদ্ধ কৃষক মোঃ মালেক মিয়া বলেন,সারা জীবন উপজেলা গেছি নৌকা দিয়ে সময় লেগেছে ঘন্টার পর ঘন্টা এই সেতুটি নির্মান হলে শুধু উপজেলা নয় জেলা ও রাজধানী ঢাকা যাওয়া যাবে অল্প সময়ের এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে। বর্শিকুড়া গ্রামের মফিজ মিয়া বলেন, এই সেতুর কাজ শেষ হলে শুধু ইটনা উপজেলার লোকজন নয় সুবিধা হবে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা লোকজনও।
বাদলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আদিলুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন এই সেতুর নির্মাণ শেষে ইটনা উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের লোকজনসহ পার্শ্ববর্তী আরোও কয়েকটি উপজেলার লোকজন যোগাযোগের মাধ্যম সহজ হবে , বিশেষ করে হাওরের কৃষক শ্রমিক বেশি সুবিধা পাবে প্রতি বছর ধান ঘরে আনার জন্য অনেক কষ্ট এবং নৌকা ভাড়া বাবদ বাড়তি টাকা গুনতে হতো এই সেতুর কাজ শেষ হলে কৃষকদের আর বাড়তি টাকা এবং কষ্ট দুটাই লাগুব হবে।
এব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ইটনা উপজেলার প্রকৌশলী মোঃ রাশেদুল আলম জানান, প্রস্তাবিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি নামে এই সেতুটির কাজ ২০১৯ সালে শুরু করা হয় শুরু পরপরই করোনার মহামারী পরিস্থিতে নির্মাণ কাজের গতি কিছুটা কম থাকলেও বর্তমানে পুরোদমে কাজ নির্মাণ কাজ চলছে ইতিমধ্যে ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে আমরা আশাবাদী নির্ধারন সময়ে মধ্যে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করে জনগনের জন্য উন্মুক্ত করে দেবো।
এই বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) কিশোরগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আমিরুল ইসলাম জানান, এই জেলার এলজিইডির সবচেয়ে বড় সেতু। এই সেতুর কাজ শেষ হলে ইটনা উপজেলা ৪ টি ইউনিয়নের লোকজন ও পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি উপজেলার লোকজনের সুবিধায় আসবে এবং জেলা সদর সহ ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা সাথে সহজেই যোগাযোগ করতে পারবে।
যাযাদি/এসএইচ