বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শ্যাপাড়া গ্রামের সার্বজনীন কালি মন্দিরে দু’টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লিটন আলী, ওসি এইস এম কামরুজ্জামান খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীযূষ কান্তি রায়, চিতলমারী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ নিজাম উদ্দিনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তারা ঘটনার সাথে জড়িদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন। এ রিপোর্ট লোখা পর্যন্ত মন্দিরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
শ্যাপাড়া গ্রামের সার্বজনীন কালি মন্দিরে সভাপতি সুভাষ চন্দ্র বৈরাগী জানান, তাদের মন্দিরে গত ৭০ বছর ধরে পৌষ মাসে কালি পূজা করে আসছেন। এছাড়া ওই মন্দিরে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা আরাধনা করা হয়। শনিবার সকালে (১৬ অক্টোবর) প্রতিবেশিরা কালি মন্দিরে দু’টি কালি প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে মন্দির কমিটির লোকজনকে জানায়। এ সময় তারা প্রশাসনকে খবর দেয়। শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। খবর পেয়ে প্রশাসনের লোকজনসহ জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ সময় তারা ঘটনার সাথে জড়িদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন। সার্বজনীন ওই কালি মন্দিরে সভাপতি সুভাষ চন্দ্র বৈরাগীর অভিযোগ দুর্বৃত্তরা ৭ বছর আগেও রাতের আঁধারে মন্দিরে হামলা চালিয়ে মন্দিরটি ভেঙে রেখে যায়।
এ বিষয়ে চিতলমারী থানার ওসি এইস এম কামরুজ্জামান খান জানান, রাতের বেলায় কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডাইরি করার জন্য মন্দির কমিটিকে বলা হয়েছে। ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে উপজেলা নির্বহী অফিসার মো. লিটন আলী জানান, মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল জানান, আমাদের এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য কোন মহল বা দুর্বৃত্তরা প্রতিমা ভাঙচুরের মত ঘটনা ঘটাতে পারে।
যাযাদি/এসএইচ