বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

​সৈয়দপুরে পারিবারিক কলহে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন

স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী
  ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:৪৬

নীলফামারীর সৈয়দপুরে পারিবারিক কলহ মেটাতে এসে বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ছোট ভাই খুন হয়েছে। বৃৃহস্পতিবার সকালে শহরের বাঁশবাড়ি শেরে বাংলা স্কুল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদি হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বড়ভাই পলাতক রয়েছে।

এলাকবাসির সুত্রে জানা যায়, বাঁশবাড়ি শেরে বাংলা স্কুল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রেলওয়ে ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী খন্দকার এস এম আরিফ হোসেন মানিক। তার তিন পুত্র সন্তান রয়েছে। মেঝ সন্তান চাটার্ড একাউন্টস খন্দকার ইমরান হোসেন আসিফ (২৯) ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও ছোট সন্তান সারোয়ার হোসেন খন্দকার ওয়ালিদ

(২৫) ঢাকায় পড়াশোনার জন্য অবস্থান করেন। তাঁর বড় পুত্র সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কর্মচারি খন্দকার জাকির হোসেন আবির (৩৩) পিতার বাড়িতেই অবস্থান করেন। কিন্তু সে মাদকাশক্ত। কর্মস্থলেও থাকে অনুপস্থিত। তার পিতা মাতা, ভাইয়েরাসহ আত্মীয় স্বজন তাকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে কিছুদিন আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসান। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। সে কারনে অকারণে বাবা মায়ের সাথে ঝগড়া বিবাদ করে আসছিল। এমনকি টাকা পয়সার জন্য সে ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করতো।

সুত্রটি জানায়, ঘটনার আগের দিন বুধবার বাড়িতে অশান্তি সৃষ্টি করে সে। এ অবস্থায় অসহায় পিতা বিষয়টি সমাধানের জন্য ঢাকায় অবস্থান করা দুই পুত্র ইমরান হোসেন আসিফ ও সারোয়ার হোসেন ওয়ালিদকে সৈয়দপুরে আসতে বলেন। পিতার এমন নির্দেশনা পেয়ে তারা আজ ভোরে ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে আসেন। সাথে আসেন আসিফের স্ত্রী রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগের শেষবর্ষের শিক্ষার্থী সাবরিনা আফসানা তিথি (২৭)। আজ সকালে পিতার বাড়িতে এসে দুই ভাই ইমরান হোসেন আসিফ ও সারোয়ার হোসেন ওয়ালিদ তাদের বড়ভাই খন্দকার জাকির হোসেন আবিরকে মাদকসেবন না করাসহ পরিবারে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য বলেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। পরে লোকজন ছাড়িয়ে দিলেও মাদকাশক্ত বড়ভাই জাকির তার সাথে থাকা চাকু দিয়ে বুকে আঘাত করে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি টের পেয়ে লোকজন ছুরিকাঘাতে আহত আসিফকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রক্তমাখা ছুড়ি ও লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

নিহতের স্ত্রী সাবরিনা আফসানা তিথি জানায়, তার ভাসুর ঘাতক জাকির হোসেন আবির সুস্থ মস্তিস্কে তার স্বামীকে হত্যা করেছে। নিহতের পিতা কে এস এম আরিফ হোসেন মানিক জানান, মেঝ পুত্র ইমরানকে হত্যার দায়ে ঘাতক পুত্র জাকিরের বিচার চাই।

এব্যাপারে নিহতের স্ত্রী সাবরিনা আফসানা তিথি ভাসুর খন্দকার জাকির হোসেন আবিরকে আসামি করে সৈয়দপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

জানতে চাইলে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে