শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

হরিরামপুরে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করতে আর্থিক সহায়তার আবেদন

শুভংকর পোদ্দার, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) :
  ২৫ নভেম্বর ২০২০, ২০:৩১

টাকার অভাবে কিডনির চিকিৎসা করতে পারছে না আওলাদ হোসেন (৩০) নামের এক যুবক। সে উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারচর গ্রামের মৃত ছবেদ আলী মোল্লার ছেলে। তার দুটি কিডনীই নষ্ট হয়ে যাওয়ায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে মিরপুর ২ নম্বর কিডনি ফাউন্ডেশনের ৫০৩ নম্বর রুমে ফ্রি বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ১০ বছর মালয়েশিয়ার প্রবাস জীবন কাটিয়ে ৩ বছর আগে দেশে ফিরেন আওলাদ। দেশে ফেরার পরেই তার কিডনী রোগ ধরা পড়ে। পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা যায় তার দুটি কিডনীই শুকিয়ে গেছে। ওই সময় ছেলের জীবন বাঁচাতে তার বৃদ্ধ মা জমেলা বেগম(৭০) একটি কিডনী দান করলে সে মোটামুটি সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে থাকে। এরপর এক বছর পরে তিনি বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করেন।

কিন্তু মায়ের দেয়া কিডনীতে বছর দুয়েক ভালো চললেও। একমাস আগে পুনরায় আবার কিডনীর সমস্যা দেখা দেয়ায় পরীক্ষা করে দেখা যায় সেই কিডনীটাও নষ্ট হয়ে গেছে।

তাই বর্তমানে দুটি কিডনীই অকার্যকর হয়ে ডায়োলসিস চলছে। ফলে এখন আবার কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট করা জরুরী হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় আওলাদের স্ত্রী শাহানাজ আক্তার রিয়া কিডনী দিতে সম্মতি থাকলেও টাকার অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। কেননা এতে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার দরকার। দুই বছর আগে প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ করে চিকিৎসা করতে পারলে ও বর্তমানে অর্থাভাবের কারণে চিকিৎসা করার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই তার পরিবারের।

এ ব্যাপারে আওলাদ হোসেন ও তার স্ত্রী শাহানাজ আক্তার রিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে মুঠোফোনে তারা জানান, দুই বছর আগে প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ করে চিকিৎসা করা হয়েছিল। বর্তমানে ৬ লক্ষ টাকা খরচ করে কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের। তাই আমরা সমাজের বিত্তবানদের কাছে একটি জীবন বাঁচাতে সহযোগিতা কামনা করছি।

সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করুন:- কিডনি ফাইন্ডেশন মিরপুর ২,লিফটের ৪ তালা, ৫০৩ নং রুম, ফ্রি বেড। বিকাশ নাম্বার : ০১৭৪৫৩৭৫৫২১ (ধন্যবাদান্তে শাহানাজ আক্তার রিয়া)।

যাযাদি/এস/৮.৩০

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে