সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সেই পল্লী চিকিৎকের বাড়িতে পুলিশ প্রশাসন

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০২০, ২১:২৫

সুন্দরগঞ্জে (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সেই মোটরসাইকেল আরোহী পল্লী চিকিৎসক মনোয়ারুল ইসলামের (৪০) বাড়িতে পুলিশ প্রশাসন। নিহতের সংবাদ পাওয়া মাত্র তার স্বজনদের সমবেদনা জানাতে পুলিশ তার বাড়িতে যান। এসময় থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত বুলবুল ইসলাম নিহতের স্বজনদের সমবেদনা ও তার ছেলে-মেয়েকে কোলে নিয়ে আদর করেন। পাশাপশি জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

 

নিহত মনোয়ারুল ইসলাম উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের উত্তর ঝিনিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। দীর্ঘদিন থেকে তিনি পৌর শহরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। পুলিশ পরিদর্শক বুলবুলের সাথে পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংবাদিক এ মান্নান আকন্দ, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, এস আই সেলিম রেজা, পৌর কাউন্সিলর সাজু সরদার ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বারিক মজুমদারসহ সুধীজন ছিলেন।

 

উল্লেখ্য গত শুক্রবার গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ গ্রামীণ হাইওয়ে সড়কের উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের ফোরকানিয়া রাজার সংলগ্ন স্থানে পুলিশ পিক-আপ ভ্যানের সাথে মোটর সাইকেলের (গাইবান্ধা-ল-১১-০৫৪৮, এ্যাপাচি) মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। এতে মোটর সাইকেল চালক  আলাউদ্দিন মজুমদার শাহিন ও আরোহী মনোয়ারুল ইসলাম গুরুত্বর আহত হন। তাৎক্ষনিক পুলিশ তাদের পিক-আপ ভ্যানে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। মনোয়ারুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে ভর্তির কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু হয়।

 

এদিকে আহত আলাউদ্দিন মজুমদার শাহিনের অবস্থা অবনতি দেখা দিলে ঘটনার দিন সন্ধা ৭টার দিকে তাকেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে রংপুরে পাঠানো হয়। শাহিন পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বারিক মজুমদারের ছেলে ও সুন্দগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য এবং দৈনিক প্রথম খবর ও দৈনিক মানচিত্র পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি। এদিকে শনিবার নামাযে জানাযা শেষে মনোয়ারুল ইসলামকে তার গ্রামের নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।