বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছে তিস্তার মানুষ

কালীগঞ্জ (লামনিরহাট) প্রতিনিধি
  ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:০৭
ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছে তিস্তার মানুষ
ছবি : যায়যায়দিন

লালমনিরহাট ও রংপুরের মধ্যবর্তী অবস্থিত মহিপুর তিস্তায় ঈদুল ফিতরের আনন্দ উপভোগ করতে প্রতি বছরের মতো এবারও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর। তিস্তায় দর্শনার্থীদের সমাগমে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। উৎসব আর আনন্দে মেতে উঠেছে পুরো তিস্তা এলাকা। এ ছাড়া স্পিডবোট আর পালতোলা নৌকায় উঠতে অপেক্ষা করছেন দর্শনার্থীরা। এ যেন মিনি কক্সবাজারে পরিণত হয়েছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন বিকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, মহিপুর তিস্তা এলাকায় দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেলে, অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসে আসছেন তারা। তিস্তা পাড়ে চলছে আনন্দ-উল্লাস। এতে মহিপুর তিস্তা এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।

মহিপুর তিস্তার বুকে স্পিডবোটে ও নৌকায় দ্রুত বেগে এপাশ থেকে ওপাশে ছুটে চলছেন পর্যটকরা। স্পিডবোট ও পালতোলা নৌকায় মাত্র ৫০ টাকায় তিস্তার বুকে ভাসছেন দর্শনার্থীরা। বড় বড় ঢেউ এসে ধাক্কা দিচ্ছে তিস্তার পাড়ে। ছিটকে আসা জলরাশির আনন্দে মেতে উঠছে সবাই। এ সময় মহিপুর তিস্তার আনন্দের স্মৃতির হিসেবে ফ্রেমবন্দি করছেন প্রিয় মুহূর্তগুলো।

ঘুরতে আসা দর্শনার্থী জাকিয়া সুপ্তি বলেন, প্রতি বছর ঈদ ও নানান উৎসবে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মহিপুর তিস্তা এলাকায় ছুটে আসি। আমি আমার ছেলেমেয়েদের নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছি। এখানে এসে অনেক মজা করেছি যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।

আরেক দর্শনার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা ঢাকা শহরে গণ্ডির মধ্যে বসবাস করি। কোথাও যেতে পারি না। তাই ঈদে সন্তানদের নিয়ে মহিপুর তিস্তার ছুটে আসছি। এতে বাচ্চারা অনেক আনন্দ পাচ্ছে।

রংপুর থেকে আসা মেহেদী মিরাজ ও শ্রাবণী আক্তার বলেন, ‘নদীর বুকে ভাসমান বিলুপ্ত আশির দশকের বেশ কিছু পাল তোলা নৌকাগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে। এগুলো আমাদের মতো অন্যদেরও নজর কাড়ছে। আমরা ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনে বেশ কিছু প্রিয় মুহূর্ত বন্দী করেছি।’ এরকম হাজার হাজার মানুষ ঈদ আনন্দে কিছুটা সময় এখানে ঘুরতে মোটরসাইকেল, মিনিবাস, কার, মাইক্রোবাস, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে তিস্তার পাড়ে আসছে।

স্থানীয়রা জানায়, অত্র এলাকায় বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় প্রতি বছরের মতো এবারও হাজার হাজার মানুষ মহিপুর তিস্তায় এসে ঈদ আনন্দ উপভোগ করছেন।পর্যটক ও দর্শনার্থীদের আকর্ষণ বাড়াতে সরকারি সহায়তায় মহিপুর তিস্তার পাড়কে নতুন মাত্রায় সাজানো হলে এখান থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারের কোষাগারে রাজস্ব আসবে। এতে দিন বদলের এই যুগে বদলে যাবে নদী ভাঙন কবলিত মহিপুরের মানুষের জীবনযাত্রার মানও।’

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে