বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

দেশের অর্থনীতিতে ৫৫০০ কোটি টাকা যোগ করেছে উবার

আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাবলিক ফার্স্ট পরিচালিত গবেষণায় উঠে এসেছে ২০২৪ সালে উবার মটো ও অটো সার্ভিস একাই ৯২০ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থনীতিতে অবদান রেখেছে।
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
দেশের অর্থনীতিতে ৫৫০০ কোটি টাকা যোগ করেছে উবার
দেশের অর্থনীতিতে ৫৫০০ কোটি টাকা যোগ করেছে উবার

গত বছর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ৫৫০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ অবদান রেখেছে উবার। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উবার ইকোনমিক ইমপ্যাক্ট রিপোর্ট বাংলাদেশ-২০২৪ প্রকাশ করা হয়। সেখানে জানানো হয় এ তথ্য।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক ও বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন। আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাবলিক ফার্স্ট পরিচালিত গবেষণায় উঠে এসেছে, ২০২৪ সালে উবার মটো ও অটো সার্ভিস একাই ৯২০ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থনীতিতে অবদান রেখেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ৮২ শতাংশ যাত্রী অফিসে যাতায়াতের জন্য উবার ব্যবহার করেছেন। এতে প্রতি বছর আনুমানিক ১১ লাখ কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হয়েছে, যা ৯৪ কোটি টাকার সমান। প্রতিবেদনে উবারের অর্থনৈতিক অবদানের প্রধান দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। উবার চালকরা তাদের অন্যান্য বিকল্প কর্মসংস্থানের তুলনায় ৪২ শতাংশ বেশি আয় করছেন। ২০২৩ সালে উবার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে ২৯০ কোটি টাকা অবদান রেখেছে এবং ২০২৪ সালে ২১ লাখ ৪০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। ২০২৪ সালে উবারের মাধ্যমে যাত্রীরা ৬৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকার সুবিধা পেয়েছেন।

উবারের কারণে ৫০ শতাংশ চালকের কাজের সুযোগ বেড়েছে। ৭৬ শতাংশ চালক জানিয়েছে, উবার তাদের প্রথম আয়ের পস্ন্যাটফর্ম। ৮১ শতাংশ যাত্রী মনে করেন, উবারের মাধ্যমে রাইড বুক করা রাস্তা থেকে গাড়ি নেয়ার চেয়ে অনেক সহজ। ৮৬ শতাংশ যাত্রী উবার অ্যাপকে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবহন উদ্ভাবন হিসেবে মনে করেন।

৯৫ শতাংশ নারী যাত্রী বলেছেন, নিরাপত্তাই তাদের উবার ব্যবহারের অন্যতম প্রধান কারণ। ৮৯ শতাংশ যাত্রী উবারকে রাতে বাড়ি ফেরার সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম মনে করেন। ৮৭ শতাংশ যাত্রী মনে করেন, উবারের কারণে শহরে যাতায়াত সহজ হয়েছে। এছাড়া ৭৮ শতাংশ যাত্রী বলেছেন, উবারের মতো রাইডশেয়ারিং সার্ভিস না থাকলে রাতে নিরাপদ যাতায়াত কঠিন হতো।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, উবারের ভূমিকা উলেস্নখযোগ্য। রাইডশেয়ারিং শিল্প পরিবহন খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রশংসনীয় প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস কামাল বলেন, তারা তাদের ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে গর্বিত। ভবিষ্যতে তারা আরো উন্নত সেবা দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

পাবলিক ফার্স্টের টেক, মিডিয়া ও টেলিকম প্রধান এমি প্রাইস প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। এরপর নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে