সৌদি আরব থেকে প্রবাসীরা ২০২৪ সালে ১৪ হাজার ৪২০ কোটি রিয়াল বা ৩ হাজার ৮৪৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। অর্থের এ পরিমাণ ২০২৩ সালের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসএএমএ। এছাড়া এটি তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স। খবর আরব নিউজ।
প্রতিবেদন অনুসারে, গত ডিসেম্বরে সৌদি আরব থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪০২ কোটি রিয়াল, যা ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে ২০২৪ সালে বিদেশ থেকে সৌদি নাগরিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স ছিল দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ সময় তারা দেশে ৬ হাজার ৮৬১ কোটি রিয়াল দেশে পাঠান, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ১০ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেশি। এছাড়া মাসিক হিসাবে সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৬৬ কোটি রিয়াল রেমিট্যান্স পেয়েছে সৌদি আরব।
রেমিট্যান্স বিশেষজ্ঞ থামের আল-হারবির মতে, প্রবাসী আয়ের উলেস্নখযোগ্য বৃদ্ধির মূল কারণ সৌদি অর্থনীতির শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি। এতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে উচ্চাকাঙ্ক্ষী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা 'ভিশন ২০৩০' সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো।
বৈচিত্র্যময় খাতে প্রকল্পের পরিমাণ ক্রমে বাড়ায় দক্ষ ও অদক্ষ দুই ধরনের শ্রমিকের প্রয়োজন পড়ছে সৌদি আরবে। ফলে দেশটিতে বিদেশী কর্মী ব্যাপক হারে বাড়ছে। এছাড়া বছর শেষে ছুটির মৌসুম হওয়ায় 'প্রিয়জনদের কাছে' প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানো বাড়ে ডিসেম্বরে। এ কারণে ওই মাসে ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।
থামের আল-হারবির ভাষ্যে, সৌদি আরব ও প্রাপক দেশের অর্থনৈতিক এবং নীতিগত প্রবণতা রেমিট্যান্সের পাঠানোর পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ, মুদ্রার স্থিতিশীলতা রেমিট্যান্সের মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রেরিত অর্থের ওপর প্রভাব ফেলে। কারণ প্রবাসীরা ওই মুদ্রার ওপর আস্থা রাখে ও ভালো রেট পায়। এছাড়া রেমিট্যান্স পাঠানোর নিয়মাবলি সহজ ও নিরাপদে অর্থ স্থানান্তরের সুযোগ দিলে প্রবাসীরা আরো লেনদেনে উৎসাহিত হয়। আবার কঠোর নিয়মাবলি বা অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা বিকল্প পদ্ধতি অনুসন্ধানে বাধ্য করে।