টানা তিন দিন ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার

প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
'পুঁজি রক্ষার' দাবিতে বিনিয়োগকারীরা আন্দোলনে নামার পর দেশের শেয়ারবাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (৪ ফেব্রম্নয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে দাম কমার তালিকায় নাম লিখেয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। তারপরও এ বাজারটিতে মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের তিন কার্যদিবসেই মূল্যসূচক বাড়লো। এর আগে শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক দরপতন দেখা দিলে গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে সোমবার মতিঝিলে সমাবেশের ডাক দেন বিনিয়োগকারীরা। সমাবেশের ডাক দেওয়ার পর রোববার শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। বিনিয়োগকারীদের সামাবেশের দিন অর্থাৎ সোমবারও ঊর্ধ্বমুখী থাকে শেয়ারবাজার। আর মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। তবে লেনদেনের শেষদিকে দাম বাড়ার তালিকা থেকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। অবশ্য এর মধ্যেও বড় মূলধনের কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকে। ফলে মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৫টির। আর ৭৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৮১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৪৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৩১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১৩ কোটি ৮ লাখ টাকা। এই লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে পূবালী ব্যাংকের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১৯ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোনের ১৩ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১২ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারি।