বাংলাদেশ থেকে বিগত ১৫ বছরে পাচারকৃত ২৮ লাখ কোটি টাকা ফিরিয়ে এনে বন্ধ পাট, সুতা, বস্ত্র, চিনিকল চালু করা এবং নতুন শিল্পকারখানা গড়ে তুলে বেকারত্ব নিরসনের দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন ও জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশন আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিগত ১৫ বছরে দেশ থেকে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। অথচ অব্যবস্থাপনার সঙ্গে টাকার অভাবে ২৬টি পাটকল, ৬৪টি সুতা-বস্ত্রকল এবং ৯টি চিনিকল বন্ধ রয়েছে। এতে লাখ লাখ লোক বেকার হয়েছে।
বক্তারা বলেন, ছাত্র-শ্রমিক গণ-অভু্যত্থানের মধ্য দিয়ে পূর্ববর্তী স্বৈরাচারী-অগণতান্ত্রিক সরকারের পতন হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে শ্রমজীবী মানুষের অনেক প্রত্যাশা। জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, বিগত সময়ে পাচার হওয়া এসব টাকার মালিক দেশের জনগণ, এই টাকার মালিক এ দেশের শ্রমিকরা। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাতে চাই, এই টাকা দেশে ফেরত আনতে হবে। এই টাকা দিয়ে বন্ধ থাকা কারখানা চালু করতে হবে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কৃষিনির্ভর শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এতে বেকারত্ব কমবে। সরকারকে অনুরোধ করব আমলাদের প্রেসক্রিপশনে কোনো দেশবিরোধী সিদ্ধান্ত যেন না নেয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিগত সময়ে সময়মতো পাট কিনলে দেশ থেকে ভালো মানের পাঠ কেনা যেত। আড়তদার-ফড়িয়াদের থেকে অসময়ে খারাপ মানের পাট কিনে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আঁখের রস ঠিকমতো সরবরাহ না করায় স্বভাবতই রস শুকিয়ে যায় এবং চিনির উৎপাদন কম হয়। আমলাদের প্রেসক্রিপশন না নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বাংলাদেশকে আমরা লুটেরা, আমলা আর টাকা পাচারকারীদের হাতে দেব না।