আমন ধান কাটা শুরু হলেও বাজারে চালের চড়া দামে ভোক্তারা দিশেহারা। চাল আমদানির ওপর সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহার করলেও আমদানিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। এতে বাজারে অস্বস্তি বাড়ছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকার সাড়ে ১০ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দিলেও এখন পর্যন্ত মাত্র সাড়ে ৯ হাজার টনের এলসি খোলা হয়েছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে চাল উৎপাদন হয়েছে ৫৬ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন টন। আর এ সময় চাল আমদানি করেছে ২ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন টন।
জানা যায়, প্রতিবছর দেশে চালের চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি খরা-বন্যাসহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে চালের ঘাটতি দেখা দেয়। অভিযোগ আছে, এই ঘাটতিকে পুঁজি করে দেশের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় চালের দাম বাড়িয়ে থাকে। এমনও দেখা গেছে ভরা মৌসুমের বাজারে বাড়ছে চালের দাম।
সম্প্রতি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাসুদুল হাসান বলেন, 'আমরা ১৩৪ জন ব্যবসায়ীকে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছি। এসব এলসির বিপরীতে প্রায় সব চাল দেশে প্রবেশও করেছে।'