যুক্তরাজ্যের ধীর অর্থনীতি ও সরকারি ঘাটতি মোকাবিলায় সদ্যঘোষিত বাজেটে ৪ হাজার কোটি পাউন্ড কর বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন চ্যান্সেলর র?্যাচেল রিভস। এর মাধ্যমে দেশটির ব্যবসা খাত ও ধনী ব্যক্তিরা যুক্তরাজ্যের ধীর অর্থনীতি ও সরকারি ঘাটতি মোকাবিলায় সদ্যঘোষিত বাজেটে ৪ হাজার কোটি পাউন্ড কর বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন চ্যান্সেলর র?্যাচেল রিভস। এর মাধ্যমে দেশটির ব্যবসা খাত ও ধনী ব্যক্তিরা এক প্রজেন্মের মধ্যে সবচেয়ে বড় কর বৃদ্ধির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এতে করের পরিমাণ জিডিপির রেকর্ড ৩৮ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হতে যাচ্ছে। খবর এফটি।
কয়েক মাস আগে ক্ষমতায় আসা লেবার পার্টির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সরকারি পরিষেবা কার্যকর রাখা। কেননা এরই মধ্যে সরকারি ঋণ রেকর্ড তৈরি করেছে। সরকারি পরিষেবা সামাল দিতে অতিরিক্ত ১০ হাজার কোটি পাউন্ডের প্রস্তাব করা রয়েছে এ বাজেটে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিসভা অনুমোদিত স্বাধীনপক্ষ অফিস ফর বাজেট রেসপনসিবিলিটি (ওবিআর) বলছে, প্রস্তাবিত বাজেট কার্যকর হলে মূল্যস্ফীতি দশমিক ৫০ শতাংশীয় পয়েন্টে বাড়তে পারে। একই সঙ্গে বন্ধকী ঋণের ক্ষেত্রে সুদহার বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রস্তাবের পক্ষের্ যাচেল রিভসের যুক্তি হলো এটি অর্থনীতিকে উদ্দীপ্ত এবং এনএইচএস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো সাধারণ পরিষেবাগুলোকে উন্নত করবে।
যদিও গত বছরর্ যাচেল রিভস এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'এখন কর ৭০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় রয়েছে। বড় হারে কর বাড়িয়েছেন এমন চ্যান্সেলর হওয়ার পরিকল্পনা নেই আমার।'
১৯৯৩ সালে টোরি চ্যান্সেলর নরম্যান ল্যামন্টের পর সবচেয়ে বড় কর বৃদ্ধির প্রস্তাব দিলেনর্ যাচেল রিভস, যা ব্রিটেনের করের বোঝাকে জিডিপির রেকর্ড ৩৮ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত করবে।
ধারণা করা হচ্ছে, কর ও সরকারি ঋণ বৃদ্ধির পরিকল্পনা রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করবে। এরই মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ঋষি সুনাকসহ সমালোচকরা ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রম্নতি ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে।
এবারের বাজেটের প্রধান পরিবর্তনগুলোর মধ্যে রয়েছে নিয়োগকর্তাদের জন্য জাতীয় বীমায় ১ দশমিক ২ শতাংশীয় পয়েন্ট বৃদ্ধি এবং এতে আরও কর্মী বীমা সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। ধনী বিদেশিদের জন্য নন-ডোম ট্যাক্স স্কিমটি বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফি, জ্বালানি কোম্পানি ও মূলধন লাভের ওপর নতুন কর কার্যকর করে বার্ষিক ৯০০ কোটি পাউন্ড আয় বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ক্রমবর্ধমান সুদহার বিনিয়োগকারীদের অস্থির করে তুললেও বাজেট প্রস্তাবে কিছু বাজারের প্রতিক্রিয়া প্রাথমিকভাবে ইতিবাচক ছিল বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। কারণ আর্থিক কঠোরতা এড়িয়ে চ্যান্সেলরর্ যাচেল রিভস খরচ বাড়ানোর প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ অনেকের মনোযোগ কেড়েছে। এছাড়া বিদেশি বাসিন্দাদের আকৃষ্ট করতে নতুন ও প্রতিযোগিতামূলক কর ব্যবস্থার প্রতিশ্রম্নতি দেওয়া হয়েছে।