বিজিএমইএর দায়িত্বে নিয়োজিত প্রশাসককে তার কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সহায়তা করার লক্ষ্যে ১০ জনের একটি 'সহায়ক কমিটি' গঠন করা হয়েছে।
সহায়ক কমিটির সদস্যরা হলেন ক্লাসিক ফ্যাশন কনসেপ্ট লিমিটেডের মালিক মো. শহিদউলস্নাহ আজিম, অনন্ত ক্লথিং লিমিটেডের এনামুল হক খান বাবলু, মিসামি গার্মেন্টস লিমিটেডের মিরান আলী, ক্লিফটন ফ্যাশনের এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, উর্মি গার্মেন্টসের আসিফ আশরাফ, সফটেক্স কটন প্রাইভেট লিমিটেডের রেজওয়ান সেলিম, এম এস ওয়্যারিং অ্যাপারেলস লিমিটেডের আ ন ম সাইফুদ্দিন, এমিটি ডিজাইন লিমিটেডের মো. শিহাবুদ্দোজা চৌধুরী, শাশা গার্মেন্টস লিমিটেডের শামস মাহমুদ এবং অনন্ত অ্যাপারেলস লিমিটেডের শরীফ জহির।
রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের চলমান অস্থিরতা ও শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে বিজিএমইএ পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারায় গত ২০ অক্টোবর বোর্ড ভেঙে দেয় সরকার। প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনকে।
বিজিএমইএর পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) পরিচালনা পর্ষদের কাছে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু পর্ষদ পুনর্গঠিত হলেও গঠন প্রক্রিয়া ত্রম্নটিপূর্ণ। অন্যদিকে সাধারণ সদস্যদের উপস্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের প্রতিনিধিরা সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।
পোশাক শিল্পের চলমান অস্থিরতা ও শ্রমিক অসন্তোষের কারণে দেশের অর্থনীতি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএর পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।
বর্তমান পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের সমন্বয়হীনতার কারণে বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২ এর ১৭(১) অনুযায়ী-ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবা খাতের স্বার্থে সংগঠনটির সার্বিক কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না মর্মে প্রতীয়মান। তাই বোর্ড ভেঙে দেওয়া হলো।