একের পর এক সমস্যায় বিপর্যস্ত উড়োজাহাজ নির্মাতা জায়ান্ট বোয়িং ১৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে, যা মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির মোট কর্মীর এক-দশমাংশ। তবে বিস্তারিত ঘোষণা না এলেও সিদ্ধান্তটি কর্মীদের
একের পর এক সমস্যায় বিপর্যস্ত উড়োজাহাজ নির্মাতা জায়ান্ট বোয়িং ১৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে, যা মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির মোট কর্মীর এক-দশমাংশ। তবে বিস্তারিত ঘোষণা না এলেও সিদ্ধান্তটি কর্মীদের অবহিত করা হয়েছে। খবর বিবিসি।
সুরক্ষা প্রশ্নে বছরের শুরুতে ধাক্কা খায় বোয়িং। ওই সমস্যার সমাধান না হয়ে ক্রমে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। একাধিক তদন্ত ও জরিমানার মুখে পড়ে কোম্পানিটি। এর মধ্যে মাসখানেক ধরে ৩৩ হাজারের মতো কর্মী ধর্মঘটে যাওয়ায় সরবরাহ চেইনে সংকট আরো প্রকট হয়।
ছাঁটাই প্রসঙ্গে কর্মীদের কাছে পাঠানো ই-মেইলে বোয়িংয়ের প্রধান নির্বাহী কেলি অর্টবার্গ জানান, কোম্পানির বিভিন্ন পর্যায়ে নতুন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। চাকরির ঝুঁকিতে রয়েছেন নির্বাহী, পরিচালক ও কর্মী সবাই।
চলতি বছরের শুরুতে মাঝ আকাশে আলাস্কা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটের দরজা ছিটকে পড়ে। এরপর থেকে বোয়িংয়ের সরবরাহ চেইন ধীর হয়ে গেছে। এছাড়া অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন নিয়েও উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে কোম্পানিটি। পিছিয়ে দেয়া হয়েছে অতিপ্রত্যাশিত ৭৭৭এক্স সিরিজের সরবরাহ শুরুর তারিখ। সবমিলিয়ে পরিচালন ও অর্থায়ন সমস্যায় ভুগতে থাকা কোম্পানিটি কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কেলি অর্টবার্গ কর্মীদের দেয়া বার্তায় জানান, সামনের মাসগুলোয় ছাঁটাইয়ের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে। শিগগিরই ছাঁটাই প্যাকেজ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানানো হবে। তিনি বলেন, 'আমাদের ব্যবসার বিদ্যমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পুনরুদ্ধারে কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজন।'
চাকরি কমানোর পাশাপাশি ৭৭৭এক্সের উৎপাদন বিলম্বিত হওয়ার কারণ সম্পর্কে মুখ খুলেছেন কেলি অর্টবার্গ। তিনি জানান, এ উড়োজাহাজ তৈরিতে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে কোম্পানি। এর মধ্যে রয়েছে ফ্লাইট পরীক্ষা স্থগিত হওয়া ও চলমান ধর্মঘট।
এ শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, 'গ্রাহককে জানিয়েছি ২০২৬ সাল নাগাদ প্রথম দফায় সরবরাহে যাওয়ার আশা করছি আমরা।