দেশের উন্নয়নে একসঙ্গে এগিয়ে আসার আহ্বান

প্রকাশ | ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে স্বৈরাচার ও লুটেরাদের পতনের পর দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে না পারলে ইতিহাস আমাদের অযোগ্য বলে চিহ্নিত করবে। নিজেদের স্বার্থের কথা বিবেচনা না করে দেশের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এখনই সময় আমাদের উন্নয়নে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়া। কৃষি ও শিল্পকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এ প্রয়োজনে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদুল হাসান। প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে- এক. সরকারি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, দুই. বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠন, তিন দুর্নীতি ও অর্থ পাচার নিয়ন্ত্রণ, চার. মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, পাঁচ. পাচার হওয়া টাকা ফেরতের ব্যবস্থা, ছয়. শিল্পায়ন ও উন্নয়নের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসা, সাত. ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, আট. কর ব্যবস্থায় সংস্কার ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের কর কর্মকর্তা হিসাবে ব্যাংকের মাধ্যমে কর আদায় চূড়ান্তকরণ, নয়. কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি ও উৎপাদনকারী থেকে সরাসরি ভোক্তা পর্যায় সরবরাহ নিশ্চিতকরণ। দশ. মধ্যসত্বভোগী সিন্ডিকেট বিলুপ্তকরণ, এগারো. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামো সংস্কার, বারো. খাদ্য শস্য সংরক্ষণ ও মজুতকরণের জন্য সাইলো তৈরির জন্য এবং বিশেষায়িত হিমাগার তৈরির ব্যবস্থাপনা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ এর উদ্যোগ গ্রহণ, তেরো. তথ্য অধিকার সংক্রান্ত আইনের সংস্কার, চৌদ্দ. গ্যাস ও বিদু্যতের দাম কমানো, পনের. সোলার সেচ চালুকরণ এবং ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষকের কাছে কৃষি উৎপাদনের জন্য বিনা পয়সায় পানি ও জৈব সার সরবরাহ, ষোল. পোল্ট্রি খাদ্যে শস্য দানা (গম, ভুট্টা, সয়াবিন, চালের গুঁড়া, ধানের তুষ, শুঁটকি মাছের গুড়া, ভোজ্যতেল, আটা, ডালের খোসা, সয়াবিন মিল ইত্যাদি) ব্যতীত সকল ধরনের ক্ষতিকারক উপাদানসহ এন্টিবায়োটিক ব্যবহার বন্ধকরণ, সতেরো. গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে পোলট্রি খামারের জন্য বিনা সুদে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান, আঠারো. হালাল সার্টিফিকেশন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে পোলট্রিসহ প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানিকরণ। উনিশ. মোবাইলসহ সকল ইলেকট্রনিক সামগ্রী দেশে উৎপাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ, ধাপে ধাপে আমদানি বন্ধ করে রপ্তানির উদ্যোগ গ্রহণ, দেশি উদ্যোক্তাদের বিনাসুদে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক সামগ্রী উৎপাদন ও রপ্তানির দোয়ার উন্মোচনকরণ, বিশ. শেয়ারবাজারে লিস্টেড শিল্প-কারখানাগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধি ও রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য প্রতিটি শিল্পকে তাদের পরিশোধিত মূলধনের সমপরিমাণ বিনাসুদে ঋণ প্রদান, একুশ. মানসম্পন্ন কর্মসংস্থানের জন্য মানবসম্পদকে শক্তিশালী করা, বিনা ফিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ, দক্ষ শ্রমিক বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ, বাইশ. আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের ১৫ বছরে যে সকল ব্যাংক অনুমোদন লাভ করেছে তাদের পরিচালকদের শেয়ার ফর ফিচার করে নতুন উদ্যোক্তাদের মাঝে শেয়ার বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ পরিবারদের মাঝে বিতরণকরণ, এবং তেইশ. বিদেশে অবস্থিত আমাদের অ্যাম্বাসির মাধ্যমে আমাদের পণ্য, শিল্প, দক্ষ শ্রমিকদের ব্র্যান্ডিং করার উদ্যোগ গ্রহণ।