অগ্নি সিস্টেমের শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণ তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশ | ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
বিদায়ী সপ্তাহে অগ্নি সিস্টেমের শেয়ার দর বেড়েছে ২২.৯৯ শতাংশ। অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশ দিয়েছে। জানা গেছে, ডিএসইর চিফ রেগুলেটরি অফিসারকে (সিআরও) খতিয়ে দেখে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। চলতি বছরের ২৬ জুন থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে কারা কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছে, তা বিএসইসিতে পাঠাতে হবে বলে চিঠিতে উলেস্নখ করা হয়। গত সপ্তাহে ডিএসইতে যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, তার প্রায় দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠানের বেড়েছে। এই দাম বাড়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে অগ্নিসিস্টেম। সপ্তাজুড়ে দাম বাড়ায় চার দিনেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২১১টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৬টির। আর ৩৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এমন বাজারে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশের কাছে আগ্রহের শীর্ষে চলে আসে অগ্নি সিস্টেমের শেয়ার। ফলে ডিএসইতে দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ২২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭ টাকা ৭০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ২০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ৩৩ টাকা ৫০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে বেড়েছে ৫৫ কোটি ৮৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা। শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি ২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ নগদ শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। তার আগে ২০২২ সালে সাড়ে চার শতাংশ, ২০২১ সালে সাড়ে ৩ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় এই কোম্পানিটি। ৭২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৭ কোটি ২৫ লাখ ৫৬ হাজার ১৯২টি। এর মধ্যে ৩২ দশমিক ৩৪ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৪৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ শেয়ার আছে। এ বিষয়ে জানতে ডিএসইর সিআরও খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।