আজকের যায়যায়দিন

দেশের উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ৬ থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রধান সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। একইসঙ্গে আলোচ্য সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে, তবে সিএসইতে কমেছে। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪০.৫২ পয়েন্ট বা ০.৭৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪২২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৫.৮৫ পয়েন্ট বা ০.২৯ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৮৪ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৫.৪০ পয়েন্ট বা ১.২৬ শতাংশ কমে ১ হাজার ২০৫ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৫৮.১৫ পয়েন্ট বা ৪.৯৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৪ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৪১৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭২ হাজার ১১৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৩০১ কোটি টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৬৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৩১ কোটি ৯ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬৬৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২১১টির, দর কমেছে ১৪৬টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির। আর লেনদেন হয়নি ১৭টির।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৬.৪২ পয়েন্ট বা ০.৮৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১৩৫ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.২৪ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৩০২ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স ০.৮৯ শতাংশ কমে ৯ হাজার ১৯২ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৮৯ শতাংশ কমে ৯৮২ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ৪.৪৪ শতাংশ কমে ২ হাজার ৪৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮ হাজার ৪৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮ হাজার ৪৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ৪০০ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে অগ্নিসিস্টেমস লিমিটেডের। সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে আরডি ফুডের ১৬.৭৪ শতাংশ, ফু-ওয়াং ফুডের ১৪.৭৫ শতাংশ, ফু-ওয়াং সিরামিকের ১১.৪৮ শতাংশ, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলসের ১০.৬২ শতাংশ, সালভো কেমিক্যালের ১০.৬২ শতাংশ, গেস্নাবাল হেভি কেমিক্যালসের ১০.৫০ শতাংশ, ইনট্রাকো রিফুয়েলিংয়ের ১০.১৯ শতাংশ, লাভেলো আইসক্রিমের ৯.৯৯ শতাংশ এবং প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ৯.৩৫ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৭ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬ কোটি ৬ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৪টির, দর কমেছে ১৫৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির শেয়ার ও ইউনিট দর।