আজকের যায়যায়দিন

ডিমের শুল্ক-কর প্রত্যাহারে আবারও সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যনীতি বিভাগ থেকে দেওয়া এক চিঠিতে এনবিআরকে আবারও অনুরোধ করা হয়েছে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।

সূত্রমতে, চলতি বছর বন্যার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলের মাঠ ও খামার। এ কারণে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ট্যারিফ কমিশন।

ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে আলু ও পেঁয়াজের ওপর বিদ্যমান শুল্ক-কর কমানো হয়। সে সময় ডিমের ওপর প্রযোজ্য শুল্ক প্রত্যাহারেরও সুপারিশ করা হয়েছিল। তবে তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ অবস্থায় ডিমের দাম ডজনপ্রতি বেড়ে ১৮০-১৮৫ টাকা হয়েছে। এতে ফের ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। ডিম আমদানিতে বর্তমানে ৩৩ শতাংশ শুল্ক-কর দিতে হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২৯ আগস্ট বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন থেকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পেঁয়াজ, আলু ও ডিম আমদানিতে শুল্ক-করাদি হ্রাসকরণ বিষয়ে একটি বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন এনবিআরে পাঠানো হয়। সুপারিশ অনুযায়ী ৪ সেপ্টেম্বর এনবিআর থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে। এতে স্থানীয় বাজারে এ দুটো পণ্যের মূল্যে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে বলে দেখা গেছে।

ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ১১২ পয়েন্ট লেনদেনও ৮৩৯ কোটি ছাড়াল

অন্যদিকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ডিম আমদানিতে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী শুল্ক ছাড়ের বিষয়ে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি স্থানীয় বাজারে ডিমের পর্যাপ্ত সরবরাহে ঘাটতিজনিত কারণে এর দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গত এক মাসে ডিমের স্থানীয় মূল্য ১৫ শতাংশ এবং ১ বছরে ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন জেলায় সাম্প্রতিক বন্যার কারণে পোলট্রি শিল্পের ক্ষতি হওয়ায় এবং পরিপূরক অন্য খাদ্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে ডিমের সরবরাহ ব্যবস্থায় এক ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে।