সাভারের চামড়াশিল্প নগরের কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) ঠিক করে দেওয়াসহ সুদ মওকুফ করে ঋণ রিসিডিউল করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। একই সঙ্গে মিথ্যা বলে ঢাকার হাজারীবাগ থেকে চামড়া ব্যবসায়ীদের সাভারের চামড়াশিল্প নগরীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
রোববার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন ও প্রধান উপদেষ্টা এম এ রাশিদ ভূঁইয়া।
বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা এমএ রাশিদ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমরা টাকা-পয়সা চাইনি। আপনারা জানেন, আমাদের হাজারীবাগ থেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল সাভারে। আমাদের এই জায়গাগুলোকে (হাজারীবাগ) রেড জোন দিয়ে রেখেছিল।
তিনি বলেন, আমরা ওখানে (সাভারে) গিয়ে ব্যবসা করতে পারিনি। সিইটিপি ঠিক নেই। আগে যা বলেছিল, সব মিথ্যা কথা। কোনো অবকাঠামো ঠিক হয়নি, আমাদের নিয়ে গেছে। এখন ওনার (অর্থ উপদেষ্টা) কাছে জিনিসগুলো জানিয়েছি। জিনিসগুলো ওনারা সমাধান করবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।
আপনারা কি দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের দাবি সিইটিপি ঠিক করে দেওয়া। ওনাদের কারণেই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। এ কারণে সুদ মওকুফ করে আমাদের ঋণ রিসিডিউল করে দেওয়ার কথা বলেছি।
বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন বলেন, বিসিক শিল্প নগরীতে যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, সেগুলো শতভাগ রপ্তানিমুখী। আমরা রপ্তানি করব, এ জন্যই আমাদের সব রকমের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।