শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ এবং শ্রমিক নেতারা দাবি করেছেন, দেশের শ্রম আইনের বিধানগুলো বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করতে এবং শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় একটি শ্রম সংস্কার কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। তারা বলেন, সব সেক্টরের শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি আইন প্রণয়ন করতে হবে। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জন্য স্পষ্ট শ্রমিক সংজ্ঞা আইনে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
৫ অক্টোবর ঢাকার একটি হোটেলে 'শ্রমিক অধিকার সুরক্ষা : বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬' শীর্ষক এক কর্মশালা সলিডারিটি সেন্টার, ইন্টারন্যাশনাল লয়ার্স এসিসটিং (আইল) নেটওয়ার্ক এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে। এতে বক্তারা বলেন, শ্রমিকের নাগরিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সমাজ এখনো পিছিয়ে আছে এবং বৈষম্যহীন শ্রম পরিবেশ এখনো নিশ্চিত হয়নি। এ ছাড়া দেশে শ্রম আইন এবং ইপিজেড শ্রম আইন থাকায় শ্রম ক্ষেত্রে অধিকারের তারতম্যও পরিলক্ষিত হচ্ছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরগুলো শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে রয়েছে এবং এই সুরক্ষার অভাবে শ্রমিকরা ঝুঁকিতে রয়েছেন।
আইন সংশোধনের বিষয়টি কেবল শ্রম আইনের কয়েকটি ধারায় সংযোজন-বিয়োজন কিংবা নতুন নতুন ধারা সন্নিবেশ করার চক্রে পড়ে গেলে কাঙ্ক্ষিত ফল আসবে না। এ জন্য ঢেলে সাজাতে হবে সরকার, মালিক, শ্রমিকপক্ষ সমন্বিত ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থাকে এবং এই তিন পক্ষের ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে হবে।