রোববার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

খাতুনগঞ্জে নিম্নমুখী মসলাপণ্যের বাজার

পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের মতো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় থাকা মসলাপণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। দেশের বাজারে সরবরাহ বাড়ায় পণ্যগুলোর দাম কমছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা
অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
  ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
খাতুনগঞ্জে নিম্নমুখী মসলাপণ্যের বাজার

পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের মতো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় থাকা মসলাপণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। দেশের বাজারে সরবরাহ বাড়ায় পণ্যগুলোর দাম কমছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, এদিন ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৫৫-৮৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে একই পেঁয়াজ মানভেদে ৮০-৯৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি অন্তত ১০ টাকা কমেছে। গতকাল মসলাপণ্যটি ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া পাইকারি বাজারে চীন থেকে আমদানি হওয়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়।

দেশে সিংহভাগ পেঁয়াজ উৎপাদন হলেও চাহিদা মেটাতে বছরে ৮-১০ লাখ টন আমদানি করতে হয়। আগে পণ্যটি আমদানিতে নূ্যনতম রপ্তানি মূল্য ও শুল্ক বজায় রেখেছিল ভারত। তবে সম্প্র্রতি দেশটি রপ্তানি শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আমদানির পরিমাণ বাড়ায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এছাড়া ভারত ছাড়াও পাকিস্তান, চীন, তুরস্ক, মিসরসহ অন্যান্য বিকল্প দেশ থেকেও আমদানি বাড়ানো হয়েছে।

খাতুনগঞ্জের এক ব্যবসায়ীরা বলেন, '?ভারত থেকে আমদানির ওপর নির্ভর করে দেশের পেঁয়াজের বাজার নির্ধারণ হয়। দেশটি রপ্তানি শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়ায় দেশে আমদানি বেড়েছে। এছাড়া বিকল্প একাধিক দেশ থেকেও আমদানি বেড়েছে। এ কারণে মসলাপণ্যটির দাম বর্তমানে দেশের বাজারে কিছুটা স্থিতিশীল।'

খাতুনগঞ্জে আদার দাম কমে চলতি বছরের সর্বনিম্নে নেমেছে। চীন থেকে আমদানিকৃত ও দেশি আদার দাম বেশি হওয়ায় ভারত ও মিয়ানমার থেকে পণ্যটি আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। পাইকারি বাজারে ভারতের কেরালা রাজ্য থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়। মিয়ানমার থেকে আমদানি করা আদা বিক্রি হয় ১২০-১৩০ টাকায়। দেশি আদার দাম কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা কমে ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে চীন থেকে আমদানি করা আদার দাম তুলনামূলক বেশি। প্রতি কেজি গতকাল বিক্রি হয়েছে ২২০-২৩০ টাকায়।

এদিকে পেঁয়াজ ও আদার পাশাপাশি রসুনের দামও কমতে শুরু করেছে। এক-দেড় মাস আগেও প্রতি কেজি চীনা রসুনের দাম ছিল ১৯০-২০০ টাকা। বর্তমানে তা কমে ১৭০-১৭৫ টাকায় নেমে এসেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি পেঁয়াজের বাজার নিম্নমুখী থাকায় অন্যান্য মসলাপণ্যের দামও কমছে। এছাড়া অক্টোবরে শুরু হওয়া রবি মৌসুমে দেশে আগাম জাতের পেঁয়াজ আবাদ শুরু হওয়ায় বাজারে তার প্রভাব পড়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে