রপ্তানি নীতি ২০২৪-২০২৭
রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১১০ বিলিয়ন ডলার
প্রকাশ | ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
রপ্তানি নীতি ২০২৪-২০২৭-এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এতে এ মেয়াদের শেষ বছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ বিলিয়ন ডলার। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
৩ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিব বলেন, 'এ নীতির উদ্দেশ্য হচ্ছে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আমদানি-রপ্তানির মধ্যে ভারসাম্য আনা এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা।'
'এছাড়াও রপ্তানি বাণিজ্যের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ়করণে রপ্তানি নীতির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম বিকাশকে উৎসাহিত করতেও সহায়ক।'
প্রস্তাবিত রপ্তানি নীতির প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রেস সচিব জানান, ২০২৪-২৭ মেয়াদের শেষ বছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে, রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডবিস্নউটিও) নিয়ম অনুযায়ী আর্থিক প্রণোদনার বিকল্প ব্যবস্থা-সংক্রান্ত নির্দেশিকা এবং রপ্তানিতে নারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত করার জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা সুপারিশ করা হয়েছে।
রপ্তানি প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকটি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতে সম্ভাবনাময় নতুন কিছু পণ্য ও সেবা, যেমন সবজি, হস্ত ও কারুপণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ উন্নয়নমূলক খাতে স্পিনিং ও ফ্যাব্রিক উৎপাদন ও ডাইং-প্রিন্টিং ফিনিশিং অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত সেবা খাত ও বিশেষ উন্নয়নমূলক সেবা খাতের প্রতিও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
রপ্তানি সম্প্রসারণে সহায়ক পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যবস্থা ঠিক করা হয়েছে। এতে খাতভিত্তিক কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। ওষুধশিল্প ও চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং হস্তশিল্পজাত পণ্যকে নতুনভাবে এ অংশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া সেবা খাতের রপ্তানি সম্প্রসারণে সহায়ক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য একটি নতুন অধ্যায় সংযোজন করা হয়েছে।
'রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্য তালিকা' এবং 'শর্তসাপেক্ষে রপ্তানি পণ্য তালিকা' হালনাগাদ ও এইচএস হেডিংসহ উলেস্নখ করা হয়েছে। রপ্তানি-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কমিটি এবং রপ্তানি-সংক্রান্ত কারিগরি কমিটির পঠন ও কার্যপরিধিও এই নীতিমালায় সন্নিবেশ করা হয়েছে।