সাপ্তাহিক শেয়ারবাজার

বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশ | ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত শেয়ারবাজারের মূলধন কমেছে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে একইসঙ্গে কমেছে সব রকম সূচক ও টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ। এছাড়া, কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দামও। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৭৬.৫৫ পয়েন্ট বা ৩.১৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৬২.৫৮ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৪০.৬৭ পয়েন্ট বা ৩.২২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২২১.২৭ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক ৭৪.০৮ পয়েন্ট বা ৩.৫৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৯০.৮৫ পয়েন্টে। এছাড়া, ডিএসএমইএক্স সূচক ৫৮.৩৩ পয়েন্ট বা ৪.৭৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৭২.৯৭ পয়েন্টে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৭টির, কমেছে ৩৩১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮টি প্রতিষ্ঠানের দাম। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসই ৮১ কোটি ৫৭ লাখ ৩০ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। টাকার অংকে যার বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩১ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৩৯৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১ হাজার ২৬৫ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা বা ৩৭.২৫ শতাংশ। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬২১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ১১৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ৫৫০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বা ১.৯৭ শতাংশ। দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫২১.৪৪ পয়েন্ট বা ৩.৩০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২৭১.৭৭ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচক সিএসসিএক্স ২৯৬.২৯ পয়েন্ট বা ৩.০৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ২৭৫.০৩ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক ৩৫.১১ পয়েন্ট বা ২.৯৪ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ৩৪.৯৮ পয়েন্ট বা ৩.৪১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে- এক হাজার ১৫৮.৫০ পয়েন্টে এবং ৯৯১.৪২ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৩০ সূচক ৩৬৫.৭৯২২ পয়েন্ট বা ২.৮৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৪৫৭.৩৪ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫২টির, কমেছে ২৫২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির। সপ্তাহটিতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ৮৫ টাকার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭২ কোটি ৬০ লাখ ২২ হাজার ৭৩৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩১ কোটি ৪৬ লাখ ২৯ হাজার ৬৫৩ টাকা বা ৪৩.৩৩ শতাংশ। ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩২.৩৯ শতাংশ। সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে আফতাব অটোমোবাইলসের ১৬.৭২ শতাংশ, এডিএন টেলিকমের ১৩.৬৮ শতাংশ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ১২.২৩ শতাংশ, শামপুর সুগার মিলসের ৮.৮৯ শতাংশ, লিব্রা ইনফিউশনের ৮.৩৪ শতাংশ, রূপালী লাইফ ইন্সু্যরেন্সের ৮.১২ শতাংশ, আনলিমা ইয়ার্ন ডাইংয়ের ৭.৭৮ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টসের ৭.৫৩ শতাংশ এবং আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ৭.১৪ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে। সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৪.২৯ শতাংশ কমেছে। সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে কাট্টালি টেক্সটাইলের ২২.৩০ শতাংশ, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ১৮.৬০ শতাংশ, বে লিজিংয়ের ১৮.৪৮ শতাংশ, ওয়েস্টার্ন মেরিনের ১৭.৯৫ শতাংশ, ইন্দো বাংলা ফার্মার ১৭.৯২ শতাংশ, এ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ১৭.৭৫ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্সের ১৭.৩৯ শতাংশ, ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১৭.১২ শতাংশ এবং ফরচুন সুজ লিমিটেডের ১৬.৬৭ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।