আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক

এস আলম ঘনিষ্ঠ দুজনকে এএমডি নিয়োগের পাঁয়তারা

গত সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামভিত্তিক বিতর্কিত ব্যবসায়ী গ্রম্নপ এস আলমের প্রভাবমুক্ত করতে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশ | ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে বিতর্কিত এস আলম গ্রম্নপের ঘনিষ্ঠ দুজন কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) নিয়োগের পাঁয়তারা চলছে। মূলত এস আলম গ্রম্নপের নানা অনিয়ম ঢাকতেই এ নিয়োগ। এতে ব্যাংকের অভ্যন্তরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামভিত্তিক বিতর্কিত ব্যবসায়ী গ্রম্নপ এস আলমের প্রভাবমুক্ত করতে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০ দিনের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো ব্যাংকটির আগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরমান আর চৌধুরী বহালতবিয়তে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, এস আলম গ্রম্নপ ও কেডিএস গ্রম্নপের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত দুজনকে ব্যাংকটির এএমডি পদে নিয়োগের চেষ্টা করছেন। আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে এখনো বহালতবিয়তে রয়েছেন সাইফুল আলম মাসুদের ভাই আব্দুস সামাদ লাবুর বোর্ডের নিয়োগ করা ফরমান আর চৌধুরী। নতুন বোর্ড দায়িত্ব গ্রহণ করলেও তাকে সরানোর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। সম্প্রতি আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের দুজন এএমডি নিয়োগের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। এস আলম গ্রম্নপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ এবং কেডিএস গ্রম্নপের কর্ণধার খলিলুর রহমানের পরামর্শেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে কয়েকজনের সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। তথ্য বলছে, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সাইফুল আলম মাসুদ সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলেও ব্যাংক থেকে তার ভাইয়ের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ বের করে নিয়েছে এস আলম গ্রম্নপ ও কেডিএস গ্রম্নপ। বর্তমান পর্ষদ ওই ঋণগুলো পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নিজের অনুগত লোক বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয় এস আলম ও কেডিএস। যার ধারাবাহিতকায় ব্যাংকের আগের ডিএমডিরা থাকার পরও এস আলমের অনুগত নতুন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের চেষ্টা করা হচ্ছে। সূত্র বলছে, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের বাইরে থেকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ করা হলে ব্যাংকের কর্মীদের মধ্যে নতুন করে অস্থিরতা তৈরির শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কয়েকজন কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করায় নিজস্ব কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। নিয়োগ হলেই আন্দোলনে যেতে পারেন সব কর্মকর্তা-কর্মচারী। এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকে বর্তমানে ৭ জন ডিএমডি থাকার পরও কেন বাইরে থেকে কর্মকর্তা আনতে হবে। এছাড়া যাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে দুজন এস আলম গ্রম্নপের ঘনিষ্ঠ হিসেবে জানতে পেরেছি। এই দুজনকেই নিয়োগের জন্য আয়োজন চলছে। সার্বিক বিষয়ে জানতে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরমান আর চৌধুরীকে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল ধরেননি।