কিছুতেই থামছে না শেয়ারবাজারে দরপতন

প্রকাশ | ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
একদিকে শেয়ারবাজার পরিস্থিতি কীভাবে ভালো করা যায় সে বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বৈঠক করছেন বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অন্যদিকে দরপতন চলছে। বিনিয়োগকারীরাও কয়েকদিন ধরে দরপতন ঠেকাতে চাপ দিচ্ছেন। এরই মধ্যে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস তথা সোমবার দেশের উভয় শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) একটি ব্যাংকও দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পারেনি। ব্যাংকের শেয়ার দাম ঢালাও দরপতন হয়েছে। ফলে বাজারটিতে সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) ব্যাংক কোম্পানিগুলোর শেয়ার দাম ঢালাও কমেছে। সেইসঙ্গে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে অন্যান্য খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এতে কমেছে মূল্যসূচক। তবে ডিএসইর মতো এ বাজারটিতেও লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দাম কমার মাধ্যমে। তবে অন্যান্য খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম লেনদেনের শুরুতে বাড়ে। এতে মূল্যসূচকেও ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। তবে লেনদেনের সময় যত গড়াতে থাকে ব্যাংকের শেয়ার দাম কমার প্রবণতা তত বাড়ে। যার প্রভাব পড়ে অন্যান্য খাতের ওপরও। ফলে লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বড় হতে থাকে দাম কমার তালিকা। সেইসঙ্গে সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৪২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় একটি ব্যাংকেরও স্থান হয়নি। তবে দাম কমার তালিকায় রয়েছে ৩২টি ব্যাংক। আর ৪টির শেয়ার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্যাংকের শেয়ার দাম এমন ঢালাওভাবে কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্‌ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫০৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৮১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এ লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে প্রগতি লাইফ ইন্সু্যরেন্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৫ কোটি ৩৫ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোনের ২৪ কোটি ৭৮ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এমজেএল বাংলাদেশ।