টেলিগ্রাম অ্যাপসের মাধ্যমে সিমেন্স এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেডের নামে একটি চক্রের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠেছে। চক্রটি এই কোম্পানির নাম ভাঙিয়ে বিনিয়োগের জন্য টাকা সংগ্রহ করে পালিয়েছে। আর এতে হয়রানির শিকার হচ্ছে জার্মানভিত্তিক এই কোম্পানির স্থানীয় অফিসের কর্মকর্তারা।
বিষয়টি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও গুলশান থানাকে অবহিত করা হলেও কোনো প্রতিকার মিলছে না। এ বিষয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সিআইডিতে অভিযোগ করা হয়েছে। এর আগে গত ১০ জুন গুলশান থানায় জিডি করা হয়েছে, যার নম্বর ৭৭১।
অভিযোগে বলা হয়েছে, একটি প্রতারক চক্র 'এসই অফিসিয়াল চ্যানেল' ও 'এসই টিচার ১৫৮' নামে ভুয়া টেলিগ্রাম আইডি তৈরি করেছে। এই গোষ্ঠীটি আমাদের ব্র্যান্ড পরিচয় উপাদানগুলোকে অপব্যবহার করছে, যার মধ্যে আমাদের গেস্নাবাল ওয়েবসাইট থেকে ফটোগ্রাফ এবং ভিডিও রয়েছে। এমনকি আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের একটি ছবি চুরি করে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই প্রতারণামূলক কার্যকলাপ জনসাধারণের জন্য আর্থিক ঝুঁকি তৈরি করেছে। সাধারণ জনগণ এবং আমাদের ব্র্যান্ড ইমেজ উভয়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ইতোমধ্যেই স্থানীয় পুলিশে জিডি করা, বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট (বিওআই) অবহিত করা এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলটরি কমিশনে (বিটিআরসি) সমস্যাটি রিপোর্ট করাসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত এসব প্রতারকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং প্রতারক চক্রটি উলেস্নখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। টেলিগ্রাম ও ফেসবুক এর মতো অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া পস্ন্যাটফর্ম ব্যবহার করে ৫০ হাজারের বেশি গ্রাহক সংগ্রহ করেছে।
জানা গেছে, সিমেন্স এনার্জি বাংলাদেশ অনলাইনে বা অফলাইনে কোনো বিনিয়োগ বা উপার্জনের পস্ন্যাটফর্ম পরিচালনা করে না। বিনিয়োগ বা ট্রেডিং কার্যক্রমের জন্য কারো কাছ থেকে অর্থ চাওয়া বা গ্রহণ করার প্রশ্নই ওঠে না। এই প্রতারকদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অবিলম্বে সহায়তার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে কোম্পানিটি। পাশাপাশি এই প্রতারণামূলক একাউন্টগুলোকে বস্নক বা মুছে ফেলার পদক্ষেপ নিতে এবং জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করতে পারে এমন আরও কার্যকলাপ প্রতিরোধ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে সিমেন্স এনার্জি বাংলাদেশের হেড অব কমিউনিকেশন হুমায়ূন কবির টিটু যায়যায়দিনকে বলেন, এই চক্রটি শুধু আমাদের কোম্পানির নামে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির নামে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণ করে আসছে। সম্প্রতি তারা হোটেল হিলটন ইন্টারন্যাশনালের নামেও প্রতারণা শুরু করেছে। তারা বিদেশি বড় বড় কোম্পানিতে বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দেয়। এক বছরে ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা দেওয়ার প্রতিশ্রম্নতি দেয়। প্রলোভন দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে টাকা নিয়ে ওয়েবসাইট ও যোগাযোগের নম্বর বন্ধ করে দেয়। ঠিক তেমনি সিমেন্স এনার্জির নামে টাকা নিয়ে যোগাযোগের নম্বার বন্ধ করে দিয়েছে। এখন অনেক বিনিয়োগকারী আমাদের অফিসে এসে টাকা ফেরত চাইছে। বিষয়টি আমাদের জন্য খুবই বিব্রতকর।