ইন্দোনেশিয়ায় জুলাইয়ে পাম অয়েলের মজুত আগের মাসের তুলনায় ১০ দশমিক ৮২ শতাংশ কমেছে। এ সময় পণ্যটির মজুত দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ ১০ হাজার টন, যা পাঁচ বছরের সর্বনিম্নে। খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, দেশটিতে পাম অয়েলের নিম্নমুখী উৎপাদন ও বায়োডিজেলের চাহিদা বৃদ্ধি মজুত কমার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। গত বুধবার ইন্দোনেশিয়ার একটি প্রধান শিল্প সংস্থার প্রকাশিত ডাটা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। খবর রয়টার্স। ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশনের (জিএপিকেআই) এক মুখপাত্র বলেন, '?জুলাইয়ে দেশটিতে খাদ্যশিল্প খাতে ৫৭ লাখ ৬০ হাজার টন পাম অয়েল ব্যবহার হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ কম। এ সময় বায়োডিজেল খাতে পাম অয়েলের ব্যবহার পৌঁছেছে ৬৪ লাখ ৪০ হাজার টনে, যা গত বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি।'
ইন্দোনেশিয়ার সরকার বায়োডিজেল তৈরিতে ৩৫ শতাংশ পাম অয়েল ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে দেশটিতে পণ্যটির অভ্যন্তরীণ ব্যবহার ২ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় মোট ব্যবহার পৌঁছেছে ১ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার টনে।