শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

ক্যাটাগরি পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব শেয়ারবাজারে

একযোগে ২৮ কোম্পানির শেয়ার 'জেড' ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে। এতে জেড ক্যাটাগরিতে যাওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর সর্বোচ্চ কমে যায়।
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ক্যাটাগরি পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব শেয়ারবাজারে

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স বৃহস্পতিবার দেড় শতাংশের বেশি কমেছে। এদিন একযোগে ২৮ কোম্পানির শেয়ার 'জেড' ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে। এতে জেড ক্যাটাগরিতে যাওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর সর্বোচ্চ কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্স ১ দশমিক ৭০ শতাংশ বা ৯৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৩৯ পয়েন্টে। ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস দিন শেষে ৩১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে ৩০ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৬টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ২৯৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৫টি সিকিউরিটিজের বাজারদর। এর মধ্যে শীর্ষ দরপতনের তালিকার ১০ কোম্পানিরই গতকাল জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেন হয়েছে। বুধবার একযোগে ২৮ কোম্পানির শেয়ার 'এ' ও 'বি' ক্যাটাগারি থেকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করে ডিএসই। এসব কোম্পানির শেয়ারদর কমতে দেখা গেছে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বৃহস্পতিবার ২৮ কোম্পানির লেনদেন জেড ক্যাটাগরিতে হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। ফলে এসব কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করতে থাকেন, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে।

বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর কমেছে লুবরেফ বাংলাদেশের। কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় কমেছে ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ১০ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা দেশ গার্মেন্টসের শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমেছে। শেয়ারদর ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ কমে যাওয়ায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে এডভেন্ট ফার্মা। সর্বোচ্চ দর হারানোর তালিকায় অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে বিচ হ্যাচারির ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ফার কেমিক্যালের ৯ দশমিক ৮৪, বে লিজিংয়ের ৯ দশমিক ৮০, জিএসপি ফাইন্যান্সের ৯ দশমিক ৯০, প্যাসিফিক ডেনিমসের ৯ দশমিক ৮০, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ৯ দশমিক ৭৯ ও বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেডের দর ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ কমেছে।

এদিন ডিএসইতে ৫৩১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৭৯৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন কমেছে ৩৩ দশমিক ৪ শতাংশ।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ব্যাংক খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৩ শতাংশ দখলে নিয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ৭ দশমিক ২ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে টেলিযোগাযোগ খাত। ৬ দশমিক ৯ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। আর ৪ দশমিক ৫ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে তথ্য ও প্রযুক্তি খাত। বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে পাট, কাগজ, প্রযুক্তি ও জ্বালানি খাতে। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্নে শীর্ষে ছিল বস্ত্র, সেবা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে