বাণিজ্য মেলায় থাকবে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের নানা তথ্য

বিদেশি উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠান আকৃষ্টকরণে সংযোজিত হবে স্বতন্ত্র সোর্সিং কর্নার

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) ২০২৫। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সম্মানার্থে মেলা প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে মুগ্ধ কর্নারের ন্যায় স্থাপনা এবং প্রদর্শিত হবে স্থির চিত্র। সেক্টর-পণ্যভিত্তিক সেমিনার আয়োজনের পাশাপাশি বিদেশি উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠান আকৃষ্টকরণে সংযোজিত হবে স্বতন্ত্র সোর্সিং কর্নার। মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাণিজ্য মেলা স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহা. সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরোর (ইপিবি) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ডিআইটিএফ-২০২৫ স্টিয়ারিং কমিটির প্রথম সভা। ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও স্টিয়ারিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন সভায় কার্যপত্র উপস্থাপন করেন। মেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক ও আর্থিক নীতি নির্ধারণ, বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন, বিভিন্ন প্রকার স্টল, প্যাভিলিয়ন, রেস্টুরেন্টের এবং মেলার প্রবেশ টিকিটসহ অন্যান্য ইজারা কাজের ফ্লোর মূল্য নির্ধারণের লক্ষ্যে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এবারও বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে পূর্বাচলস্থ বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে। মেলার লে-আউট পস্ন্যানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন-স্টলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যা দেশীয় উৎপাদক-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশি অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে বরাদ্দ প্রদান করা হবে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তা এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণার্থে মেলা প্রাঙ্গণে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ওর্ যাব নিয়োজিত থাকবে। মেলার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে এবারের মেলায়। মেলায় খাদ্য দ্রব্যের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ গঠিত টিম মেলা চলাকালীন প্রত্যেহ ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হবে। মেলার থাকবে পর্যাপ্ত কার পার্কিংয়ের সুবিধা। ৫ শতাধিক গাড়ি পার্কিং সুবিধাসংবলিত দ্বিতল কার পার্কিং বিল্ডিং ছাড়াও এক্সিবিশন হলের বাইরে ৬ একর জমিতে বিস্তর পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। মেলার সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য মেলায় স্থাপন করা হবে একটি অস্থায়ী সচিবালয় ও দর্শনার্থীদের সব তথ্য প্রদানের জন্য থাকবে একটি তথ্য কেন্দ্র। ব্যাংকিং সার্ভিসের জন্য মেলায় থাকবে পর্যাপ্তসংখ্যক ব্যাংক বুথ। মা ও শিশুদের কথা বিবেচনা করে মেলায় স্থাপন করা হবে ২টি মা ও শিশু কেন্দ্র। ২টি শিশু পার্ক ছাড়াও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবার মধ্যে রক্ত সংগ্রহ কেন্দ্র, মসজিদ, নিউট্রিশন অ্যান্ড অটিজম সেবা, দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য আরামদায়ক ও শোভন চেয়ার-বেঞ্চ ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও সাধারণ দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কুড়িল বিশ্বরোড হতে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি ও কয়েকটি যাত্রীবাহী বাসের ডেডিকেটেড সার্ভিসের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেলা চলাকালীন এ বাস সার্ভিস চালু থাকবে। দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল হতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজন করা হচ্ছে। পূর্বের ন্যায় ২০২৫ সালের বাণিজ্য মেলাও মাসব্যাপী চলবে।