পুঁজিবাজারের সার্ভিল্যান্স সিস্টেমসকে বিশ্বমানে মতো উন্নত করতে বিশ্বব্যাংকের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
রোববার আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। এ সময় বিএসইসির কমিশনার মোহাম্মদ মহসিন চৌধুরী, অধ্যাপক ফারজানা লালারুখ ও মো. আলী আকবর।
এর আগে সকালে উভয়পক্ষের প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে। এ সময় বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিশ্বব্যাংক গ্রম্নপের দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের প্র্যাকটিস ম্যানেজার নীরজ ভার্মা, সিনিয়র ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর স্পেশালিস্ট সোল্ট ব্যাঙ্গো, ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর কনসালটেন্ট (ভার্চুয়ালি) মিসেস সাদিয়া আফরিন, ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর স্পেশালিস্ট সোফি ডং ও আইএফসির সিনিয়র অপারেশনস অফিসার সোলায়মান।
বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে আলোচনা করেছি। বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে কোন কোন জায়গায় টেকনিক্যাল অ্যাসিস্টেন্স পেতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা প্রথমত সার্ভিল্যানেসর ওপর জোর দিয়েছি। বিশেষ করে আমাদের সার্ভিল্যান্স টিম রয়েছে, সেটাকে আমরা আরও কীভাবে উন্নত করতে পারি, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া আমরা গভর্নন্স নিয়ে আলোচনা করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএসইসি কমিশনার ফারজানা লালারুখ বলেন, আমরা সার্ভিলেন্স ও গভর্ন্যান্সের ওপর জোর দিয়েছি। আমরা খুব দুর্বল সার্ভিলেন্স নিয়ে কাজ করছি। যা ২০১২ সালে ইনস্টল করা একটা সফটওয়্যার। এটাকে আমাদের দ্রম্নত আপডেট করতে কাজ করতে হবে। এটা ইনস্টলমেন্টের পর আপডেটও হয়নি। এটাকে খুব দ্রম্নত বিশ্ব মানের নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। এর জন্য আমার ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সহায়তা চেয়েছি। টেকনিকেলসহ সব কিছুর সাহায্য ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কাছে চেয়েছি। গভর্নেন্স আমরা আমাদের থেকে শুরু করতে চাই। আমরা জবাবদিহিতা সবার আগে নিশ্চিত করব।