চার বছরের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবার সুদহার কমিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এর প্রভাবে দেশটির অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি নাকি মন্দার দিকে ধাবিত হবে, শিগগিরই তা বোঝার উপায় নেই। এমন অবস্থায় শেয়ার, বন্ড ও মুদ্রাবাজারের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীরা। খবর রয়টার্স।
ফেড গত বুধবার ২৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকা সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে আনে। এর প্রভাবে শুরুতে কিছুটা স্থবির থাকলেও পরে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের উত্থান ঘটে। পরদিন বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়। ডলারের বিপরীতে ইউরো, পাউন্ডসহ নরওয়ের ক্রোন ও অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বিনিময় হারও বেড়েছে।
কিছু অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, মার্কিন অর্থনীতি এরই মধ্যে ভালো অবস্থায় পৌঁছেছে। সুদহার কমানোর মাধ্যমে অর্থনীতিকে আরও বেশি সমর্থন দেওয়া হচ্ছে। এটি সাধারণভাবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে, যা ইতিবাচক। এর প্রভাবে জ্বালানি তেল ও ধাতব পণ্যের দামও বেড়ে যেতে পারে। ফলে এটি উল্টো মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দিতে পারে।
এদিকে ফেডের সুদহার কর্তন বৈশ্বিক অন্য আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। মুল্যস্ফীতি ও বৈশ্বিক চাহিদা নিয়ে অস্থিতিশীলতার কারণে যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদহার অপরিবর্তিত রেখেছে। এমন সিদ্ধান্তে সুদহার কমানোর প্রত্যাশা কমিয়ে দিয়েছেন দেশটির ব্যবসায়ীরা।
ব্রিটিশ বিনিয়োগ ও ইন্সু্যরেন্স কোম্পানি রয়্যাল লন্ডনের মাল্টি-অ্যাসেট বিভাগের প্রধান টেভর গ্রিথাম বলেন, 'আমি মনে করি ফেড বাড়তি হারে সুদহার কমিয়েছে। এতে বৈশ্বিক অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি দ্রম্নততর হবে। ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশে সুদহার কমানোর ঘটনা খুব বেশি না-ও দেখা যেতে পারে।' সামনে বাজারে উচ্চমাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে বলেও মনে করেন গ্রিথাম।