ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত ও ঋণ বেড়েছে
প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
তারল্য সংকটের মধ্য দিয়ে চলা ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) খাতে এক বছরের ব্যবধানে আমানতের পাশাপাশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, গত জুন শেষে এ খাতে তিন লাখ ৭৯ হাজার ৭৩৭টি হিসেবে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ১১৬ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে আমানতের পরিমাণ ছিল ৪৪ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের তুলনায় এ খাতে আমানতের পরিমাণ বেড়েছে ৪৩৩ কোটি টাকা বা দশমিক ৯৫ শতাংশ।
এদিকে গত মার্চ প্রান্তিক শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে আমানতের পরিমাণ ছিল ৪৪ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে এ খাতে আমানত বেড়েছে ৮১২ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন শেষে এ খাতে ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭২ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ ঋণ স্থিতি বেড়েছে ২ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা বা ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জুনের চেয়ে চলতি বছরের জুন শেষে স্থায়ী আমানতের পরিমাণ বেড়েছে ৪৫৭ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ০৪ শতাংশ। ২০২৪ সালের জুন শেষে স্থায়ী আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা।
মোট আমানতের মধ্যে ৪১ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা বা ৯২ দশমিক ৫০ শতাংশই ঢাকা বিভাগের। আর সর্বনিম্ন ৬৯ কোটি টাকার আমানত রয়েছে বরিশাল বিভাগে যা মোট আমানতের শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ।
আমানতের মতো ঋণের সিংহভাগও ঢাকা বিভাগে। গত জুন শেষে মোট ঋণের মধ্যে ৬২ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা বা ৮৩ দশমিক ৪২ শতাংশ ঢাকা বিভাগেই দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে কম ঋণ স্থিতিও বরিশাল বিভাগে, ৩৯০ কোটি টাকা যা মোট ঋণের শূন্য দশমিক ৫২ শতাংশ। বর্তমানে সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৩৫টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট ৩০৮টি শাখা রয়েছে যার ২৮৭টি শহর এলাকায়।