গত কয়েক কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবারও প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার চেয়ে বেশি। এরপরও মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। বেশিরভাগ ভালো বা মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ায় শেয়ারবাজারে এ ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এরপরও ডিএসইর মতো এই বাজারটিতেও মূল্যসূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা দুই কার্যদিবস মূল্যসূচক বাড়লো। তবে সপ্তাহের প্রতিটি কার্যদিবসেই দাম বাড়ার চেয়ে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। লেনদেনের শুরুতে দেখা মেলা সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের পুরো সময়জুড়েই অব্যাহত থাকে।
তবে লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকা ছোট হতে থাকে। আর বড় হতে থাকে দাম কমার তালিকা। অবশ্য শুরুর মতো লেনদেনের শেষ পর্যন্ত দাম বাড়ার ধারা ধরে রাখে বড় মূলধনের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে দাম কমার তালিকায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান থাকলেও সূচকের বড় উত্থান দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯১টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে ভালো কোম্পানি হিসেবে বাছাই করা ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৩টির শেয়ার দাম বেড়েছে এবং পাঁচটির দাম কমেছে।
এতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪১ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৭৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৫৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৯৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৫৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৪১ কোটি ১২ লাখ টাকা।
এই লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে গ্রামীণফোনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩১ কোটি ৪৭ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনালী আঁশের ৩০ কোটি ৭১ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন।
এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লিন্ডে বাংলাদেশ, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ইবনে সিনা, সোনালী পেপার, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, ওরিয়ন ফার্মা এবং ব্র্যাক ব্যাংক।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৭৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৪টির দাম বেড়েছে।
বিপরীতে দাম কমেছে ১০৭টির এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।