স্টামফোর্ডে ৫:য ওহঃবৎহধঃরড়হধষ গরপৎড়ড়ৎমধহরংস উধু পালিত

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মাইক্রোবায়োলজি (বিএসএম) যৌথ উদ্যোগে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি অডিটোরিয়ামে ৫:য ওহঃবৎহধঃরড়হধষ গরপৎড়ড়ৎমধহরংস উধু উদযাপিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান। উক্ত প্রোগ্রামের সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন আইসিডিডিআরবি এর সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ড. মনিরুল আলম, উনি সবাইকে অনুজীব বিজ্ঞানের মানব কল্যাণে তাৎপর্য, তরুণ প্রজন্মকে অনুজীব এবং অনুজীব বিজ্ঞান সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করেন। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন এবং বিজ্ঞানমুখী চেতনা বিকাশের লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মনোয়ারা সুলতানা। তিনি অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং এর প্রতিরোধে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেন। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, দিন দিন অনেক রোগজীবাণু প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করছে, যার ফলে সাধারণ সংক্রমণও এখন প্রাণঘাতী হতে পারে। অনুষ্ঠানের আরেক বক্তা ছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর কমল কান্ত দাস, তিনি তার বক্তব্যে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স প্রতিরোধে মাইক্রোবায়োলজিস্টদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও, তিনি বিভিন্ন গবেষণার বিষয়ে কথা বলেন, যেখানে মেডিসিনাল পস্ন্যান্ট থেকে এন্টিবায়োটিকের বিকল্প আবিষ্কার করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাইক্রোবায়োলজি গবেষণাগার প্রদর্শন করানো হয়। এ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা এবং স্নাতক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য আইডিয়া প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত বিশিষ্ট অণুজীব বিজ্ঞানীদের অংশগ্রহণে এক প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মতামত বিনিময়ের মাধ্যমে জ্ঞানচর্চা ও অনুজীব বিজ্ঞান সম্পর্কে নতুন ধারণা বিনিময় হয়। বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার এবং সনদ প্রদানের মাধ্যমে তাদের উৎসাহিত করা হয়। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান মো. আফতাব উদ্দিন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নিয়মিতভাবে এই দিবস উদযাপনের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টির আশা প্রকাশ করেন। বিজ্ঞপ্তি