পদ্মা সেতুর রাজস্ব আদায় কার্যক্রম জোরদারের দাবি

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
পদ্মা সেতুর সাইট অফিস ও টোল পস্নাজায় নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররাও মানববন্ধন করেছে। শিক্ষার্থীরা জানান, কর্মকর্তাদের হয়রানির কারণে কর্মকর্তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। আর এতে পদ্মা সেতুর রাজস্ব আদায়ে প্রভাব পড়ছে। জানা গেছে, ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্মূল হলেও সেতু বিভাগের পদ্মা সেতু সাইট অফিসের এডিশনাল ডিরেক্টর ফ্যাসিবাদের দোসর আমিরুল হায়দার চৌধুরীর এখনো পতন না হওয়ায় নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সম্প্রতি পদ্মা সেতুর জাজিরা টোল পস্নাজার দক্ষিণ থানা সংলগ্ন স্থানে সাধারণ ছাত্রসমাজ এক দফা এক দাবি নিয়ে মানববন্ধন করেন। এখানে পদ্মা সেতুর পরিচালনা পর্ষদে এলাকাভিত্তিক নিয়োগ একনায়কতন্ত্রের মূল হোতা দুর্নীতিবাজ, দুশ্চরিত্র ও স্বৈরাচারী এডিশনাল ডিরেক্টর আমিরুল হায়দার চৌধুরীর অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে এ মানববন্ধন করে। দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের সরিয়ে টোল পস্নাজা ঢেলে সাজালে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। সাধারণ ছাত্রসমাজের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে পদ্মা সেতু উদ্বোধন এরপর আমিরুল হায়দার চৌধুরী এডিশনাল ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তখন থেকেই সাধারণ কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নারী কর্মীদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে, পদ্মা সেতু সাইট অফিসের একজন নারী এসিস্টেন্ট ম্যানেজারকে বাংলো বাড়ির সুবিধা দিয়ে তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক করে আসছে। এসব কাজে রাজন চন্দ্র বিশ্বাস-সহকারী প্রকৌশলী (টোল) এবং আরো কয়েকজন সহকারী প্রকৌশলী মিলে এই স্বেচ্ছাচারিতা এবং দুর্নীতি পরিচালনা করে আসছে। এ বিষয়ে আমিরুল হায়দার চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।