সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে বেশিরভাগ শেয়ারের দর। এদিন দৈনিক লেনদেনে রয়েছে ইতিবাচক প্রভাব। বৃহস্পতিবার দিন শেষে ২৪.৮১ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.১৮ শতাংশ বা ১০.৪২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭২৮.৬৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৯৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২২৮.৮০ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ১.১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ১১৪.৩৫ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৮টির, কমেছে ২৫০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে এদিন ২৪.৮১ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। সারাদিনে ডিএসইতে ১৮ কোটি ৪০ লাখ ৭৩ হাজার ৩৩৫টি শেয়ার ১ লাখ ৮০ হাজার ৩৪৫ বার হাতবদল হয়েছে। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৬৭৪ কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
এর আগের কার্যদিবসে অর্থাৎ ৪ সেপ্টেম্বর ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.৮২ শতাংশ বা ৪৭.৪৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ৫ হাজার ৭৩৯.০৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯.৬২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ১ হাজার ২২৭.৮৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ১৯.৮৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ২ হাজার ১১৩.২৪ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছিল ৮১টির, কমেছিল ২৬৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছিল ৫২টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে গত কার্যদিবসে ২০.৪০ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছিল। সারাদিনে ডিএসইতে ১৬ কোটি ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার ২০টি শেয়ার ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩ বার হাতবদল হয়েছিল। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছিল ৫৯৩ কোটি ৪৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা।
এদিকে বৃহস্পতিবার দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক সিএএসপিআই ০.৩৬ শতাংশ বা ৫৯.৫১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ১৬ হাজার ৩৭৮.৭৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২০৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৫৪টির, কমেছে ১২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির। দিন শেষে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৮৫ লাখ ৭৭ হাজার ৯৮৩ টাকা।