ডিম-আলু-পেঁয়াজ শুল্ক প্রত্যাহার করে আমদানি উন্মুক্ত করার প্রস্তাব

পণ্য তিনটির আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক প্রত্যাহার করে আমদানি উন্মুক্ত করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে একটি চিঠি দিয়েছে

প্রকাশ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
দেশে বেশ কয়েক মাস ধরে পেঁয়াজ-আলু ও ডিমের দাম বেশি। এর মধ্যে চলমান বন্যায় কৃষি উৎপাদন ক্ষতির মুখে পড়ায় এ তিন পণ্যের নতুন করে সরবরাহ বিঘ্ন ঘটায় কিছু স্থানে পণ্যগুলোর দাম বাড়ছে। দাম আরও বৃদ্ধির ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় পণ্য তিনটির আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক প্রত্যাহার করে আমদানি উন্মুক্ত করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে একটি চিঠি দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিব সেলিম উদ্দিন বলেন, 'আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। এনবিআর কাজ করছে। কয়েক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে বলে আশা করছি। ওই প্রস্তাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর আমদানি উন্মুক্ত করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক প্রত্যাহার করলে কম খরচে পণ্যগুলো আমদানি হবে। এতে দেশের বাজারকে স্থিতিশীল রাখা যাবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, প্রতি বছর দেশে ৬ থেকে ৭ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও বিশেষ অনুমতি ছাড়া ডিম ও আলু আমদানি হয় না। দেশে প্রতি বছর পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৮ লাখ টন, আলুর চাহিদা রয়েছে ৯০ লাখ টন। প্রতিদিন সারাদেশে প্রায় ৪ কোটি ডিম উৎপাদন হয়। কিন্তু বন্যা আক্রান্ত ১১টি জেলায় ডিম ও মুরগির উৎপাদন অবকাঠামো ধ্বংস হওয়ার পাশপাশি অনেক মুরগি মারা গেছে বলে জানায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানি ৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি ও ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি বিদ্যমান রয়েছে। ডিম ও আলু আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ ও রেগুলেটরি ডিউটি ৩ শতাংশ এবং এআইটি রয়েছে ৫ শতাংশ করে। যা পুরোপুরি প্রত্যাহার করে আমদানি উৎসাহিত করতে পারলে স্থানীয় বাজারমূল্য কমানো সম্ভব হবে। যা মূল্যস্ফীতিকেও হ্রাস করবে বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন পণ্য তিনটির আমদানি ও স্থানীয় উৎপাদন বিশ্লেষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত সরকার পেঁয়াজের নূ্যনতম রপ্তানি মূল্য ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করেছে এবং ৪০ শতাংশ বাড়তি রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছে। অন্যদিকে সবমিলে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক দিতে হয় কাস্টমসকে। অন্যদিকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসেব বলছে দেশে গত বছরের তুলনায় এবারে ১২ লাখ টন আলুর উৎপাদন কম হয়েছে যার একটি নেতিবাচক প্রভাব কয়েক মাস ধরেই বাজারে রয়েছে এবং দীর্ঘ সময় ধরে রেকর্ড পরিমাণ দামে আলু কিনতে হচ্ছে ভোক্তাকে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, শর্ত সাপেক্ষে ডিম ও আলু আমদানিযোগ্য হলেও বর্তমানে এ দুটি পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাই সুনির্দিষ্ট মেয়াদে পণ্য দুটি আমদানিতে শুল্ক রেয়াত সুবিধা দিলে সরকারের কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আহরণে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা নেই। \হ