দেশের অধিকাংশ ব্যাংকের ট্রেজারার প্রধানরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এখন থেকে কোনো ব্যাংক ডলার কেনা-বেচায় ১২০ টাকার বেশি চার্জ করতে পারবে না। বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক বৈঠকে ৪৭টি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানরা এ সিদ্ধান্ত নেন।
রেমিট্যান্স ও আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দাম সম্প্রতি বৃদ্ধির কারণে তারা এ সীমা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কোনো উলেস্নখযোগ্য কারণ ছাড়াই এ দুই খাতের ডলারের দাম বাড়ছিল।
এছাড়া বৈঠকে ট্রেজারি প্রধানরা আলোচনার মাধ্যমে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা ঘোষণা করেছেন, ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স ডলারের জন্য সর্বোচ্চ ১২০ টাকা উদ্ধৃত করবে এবং এ হার আন্তঃব্যাংক ও আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। রপ্তানি আয় নগদায়নের জন্য ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুসরণ করবে।
এসব সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করতে ও বাজারের অবস্থার ওপর মতামত শেয়ার করতে ট্রেজারি প্রধানরা সপ্তাহে এক বা দু'বার বৈঠক করবেন। বাজারে ডলারে দামের গতিবিধি নিরীক্ষণ করতে এবং একটি কার্যকর বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের বিকাশের জন্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে পরে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক ট্রেজারি প্রধান।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছিলেন, ক্রলিং পেগ এক্সচেঞ্জ রেট মেকানিজম অনুসারে ১১৭ টাকার মধ্যবর্তী দরের সঙ্গে ২ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যান্ড যোগ করে ব্যাংকগুলো ডলার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে। সেই অনুযায়ী ডলার লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো প্রতি ডলারে ১২০ টাকা পর্যন্ত চার্জ করতে পারে।