শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

চট্টগ্রাম চেম্বারের পদ থেকে তরফদার রুহুল আমীনের পদত্যাগ

চট্টগ্রাম বু্যরো
  ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
চট্টগ্রাম চেম্বারের পদ থেকে তরফদার রুহুল আমীনের পদত্যাগ

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাইফ পাওয়াটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমীন। বুধবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট বরাবর তিনি এই পদত্যাগপত্র জমা দেন।

চিটাগাং চেম্বারের সভাপতিকে দেওয়া পদত্যাগপত্রে রুহুল আমিন উলেস্নখ করেন, আমি ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব গ্রহণ করি। এর আগে ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট চিটাগাং চেম্বারের পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার পর একই বছরের ৮ আগস্ট আমাকে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করা হয়। দায়িত্ব নেওয়ার পরে দেখেছি চিটাগাং চেম্বার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক সমস্যা সমাধান এবং চেম্বারের কাছে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারিনি। তাছাড়া আমি যেভাবে দায়িত্ব পালন করতে চেয়েছিলাম ব্যক্তিগতভাবে সেটাও করতে পারিনি।

চিঠিতে তিনি আরও উলেস্নখ করেন, সাম্প্রতিক পরিবর্তিত পরিস্থিতি এবং সারাদেশে চলমান ভয়াবহ বন্যার সময় নিজের ভূমিকা ঠিকমতো পালন করতে ব্যর্থ হয়েছি এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে সমর্থন করতে পারিনি যার কারণে ব্যবসায়ী সমাজের বড় ক্ষতি হয়েছে। সে কারণে চিটাগাং চেম্বারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ থেকে আমার সরে যাওয়া উচিত বলে মনে করি। আমি আশা করব, চেম্বার সভাপতি পরিচালনা পর্ষদ থেকে অনতিবিলম্বে আমার পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করবেন।

পদত্যাগের বিষয়ে তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, সাম্প্রতিক বন্যাসহ ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনে কোনো কার্যক্রম করতে না পারার কারণে আমি চট্টগ্রাম চেম্বার থেকে পদত্যাগ করেছি। চট্টগ্রাম চেম্বার হচ্ছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন। সে সংগঠনে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনে যদি কাজ করার সুযোগ না থাকে তাহলে এই সংগঠনে থেকে লাভ কী।

উলেস্নখ্য, ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি নির্বাচিত হন সংগঠনটির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ওমর হাজ্জাজ। একইসঙ্গে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তরফদার রুহুল আমীন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হন রাইসা মাহবুব।

এছাড়া বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত অন্য পরিচালকরা হলেন- প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, সিলভার সিন্ডিকেটের স্বত্বাধিকারী একেএম আক্তার হোসেন, এএস শিপিং লাইন্সের স্বত্বাধিকারী অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, জেএন শিপিং লাইন্সের স্বত্বাধিকারী জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, আরএসবি ইন্ডাস্ট্রিয়াল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, নাহার পোলট্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রকিবুর রহমান টুটুল, হোসেন ফিশারিজের স্বত্বাধিকারী মাহফুজুল হক শাহ, গোল্ডেন কনটেইনার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেনাজির চৌধুরী নিশান, আরএম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আলমগীর পারভেজ, পাওয়ারবাংলা কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, সিপিডিএল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, ফোর এইচ অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাওহার সিরাজ জামিল, মডার্ন হ্যাচারী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সুফিয়ান চৌধুরী, চয়েস মোটরসের স্বত্বাধিকারী মাহবুবুল হক, পিএইচপি মোটরস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আক্তার পারভেজ, আজাদ সিন্ডিকেটের স্বত্বাধিকারী মো. রেজাউল করিম আজাদ, এফএ ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, এম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, সেরি মেচান ট্রাভেলের স্বত্বাধিকারী আখতার উদ্দিন মাহমুদ, অর্কিড ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, স্পেকট্রাম সলিউশন্স'র স্বত্বাধিকারী ওমর মুক্তাদির।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে