ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শেয়ারবাজার
বুধবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৭১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৫৭ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে ৮৯৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগেরদিন লেনদেন হয়েছিল ৭৫০ কোটি ২৪ লাখ টাকার। লেনদেন বেড়েছে ১৪৮ কোটি ৪১ লাখ টাকার বা ২০ শতাংশ
প্রকাশ | ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
টানা ৮ কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দেখা গেছে থেমে থেমে পতন। এই ৮ কার্যদিবসের মধ্যে দুই কর্মদিবস সূচকের সামান্য উত্থান দেখা গেলেও ৬ কর্মদিবসই বড় পতন হয়েছে। এই সময়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ২১৮ পয়েন্ট। বিপরীতে বুধবার ২৭১ কোম্পানির ইতিবাচক প্রবণতায় শেয়ারবাজারে বড় উত্থান প্রবণতা দেখা গেছে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে প্রায় ৭১ পয়েন্ট।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ১৫ আগস্ট ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৫ হাজার প্রায় ৯০৩ পয়েন্ট। গত মঙ্গলবার ৮ কর্মদিবসে ২১৮ পয়েন্ট হারিয়ে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৬৮৫ পয়েন্টে। বুধবার লেনদেনের শুরুতে আগের দিনের ধারাবাহিকতায় নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেলেও কিছুক্ষণ পর ইতিবাচক প্রবণতায় টার্ন নেয় উভয় বাজার।
এদিন লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টায় ডিএসইর সূচক ৬০ পয়েন্টের বেশি বাড়তে দেখা যায়। এরপর দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ আগে সূচকের উত্থান নেমে যায় ৩৪ পয়েন্টে। তারপর ধীরে ধীরে সূচক আবারও এগুতে থাকে, যা শেষভাগে ৮০ পয়েন্টের বেশি ঊর্ধ্বমুখী হয়। তবে অ্যাডজাস্টমেন্টের পর উত্থান স্থির হয় প্রায় ৭১ পয়েন্টে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কয়েকদিন সালমান-শিবলীর দোসররা সেল প্রেসার দিয়ে বাজারে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। এখন তাদের সেল প্রেসার প্রায় শেষ হয়েছে। অন্যদিকে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নজরদারিও বাড়ছে। যে কারণে বাজার তলানিতে এসে আবারও ঊর্ধ্বমুখী ধারায় অগ্রসর হচ্ছে। আশা করা যায়, সামনে বাজারে অস্বাভাবিক আচরণ থামবে এবং স্বাভাবিক আচরণ বাজার পরিচালিত হবে।
বুধবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৭১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৫৭ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে ৮৯৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগেরদিন লেনদেন হয়েছিল ৭৫০ কোটি ২৪ লাখ টাকার। লেনদেন বেড়েছে ১৪৮ কোটি ৪১ লাখ টাকার বা ২০ শতাংশ।
ডিএসইতে এদিন লেনদেন হওয়া ৩৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ২৭১টি বা ৬৮.০৯ শতাংশের। আর দর কমেছে ৭৯টির বা ১৯.৮৪ শতাংশের এবং দর পরিবর্তন হয়নি ৪৮টির বা ১২.০৬ শতাংশের।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে বুধবার ৮ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১২১টির, কমেছে ৮২টির এবং পরিবর্তন হয়নি ১৭টির।
এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁডিয়েছে ১৬ হাজার ৪২৫ পয়েন্টে।