স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর চেয়ারম্যানসহ সব স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএ। এ ছাড়া যত দ্রম্নত সম্ভব নতুন করে স্বতন্ত্র পরিচালক পদে নিয়োগেরও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির প্রস্তাব, ২০১৩ সালে স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশন অর্থাৎ মালিকানা বিভাগ থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগ আলাদা করার আগে যেভাবে স্বতন্ত্র পরিচালক নির্বাচন হতো, সেভাবে নিয়োগ হোক। এ বিষয়ে সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি। এর আগে গত ১২ আগস্ট আলাদা একটি সংবাদ সম্মেলন করেও বিষয়টি জানিয়েছিল তারা।
এ বিষয়ে ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম যায়যায়দিনকে বলেন, নীতিমালা না থাকায় ইতোপূর্বে যাকে পছন্দ হয়েছে, তাকেই স্বতন্ত্র পরিচালক করা হয়েছে। যিনি নিয়োগ পেয়েছেন, তিনি হয়ত তার কর্মক্ষেত্রে সফল, কিন্তু শেয়ারবাজার সম্পর্কে কোনো অভিজ্ঞতাই নেই। এতে করে স্টক এক্সচেঞ্জ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এ বিষয়টির সুরাহা করতে হলে নীতিমালা আবশ্যক। তাহলে ভবিষ্যতে আর কোনো জটিলতা তৈরি হবে না।
এদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগের মতো এ বিষয়ে নিজের একার ক্ষমতা প্রয়োগ করবে না বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে আলোচনা করেই সব স্বতন্ত্র পরিচালক পদে নিয়োগ হতে হবে। স্বতন্ত্র পরিচালকরা বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ হবেন, তাদের থেকেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে হবে। অর্থ উপদেষ্টাকে পাঠানো চিঠিতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও পেশাজীবী সংগঠনের শীর্ষ পদধারী, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও এনবিআরের সদস্য (পলিসি) এবং সফল ব্যক্তিদের থেকে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের প্রস্তাব করেছে ডিবিএ।
বিএসইসির শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, স্টক এক্সচেঞ্জের পর্ষদ স্বতন্ত্র পরিচালক পদের প্রতিটি পদের জন্য দুইজনের নাম সুনির্দিষ্টভাবে প্রস্তাব করবেন। ডিবিএ যেভাবে পদে থাকা ব্যক্তিকে নিয়োগের কথা বলছে, সেভাবে নিয়োগের সুযোগ আইনে নেই। চাইলে সরকারি সংস্থা বা ব্যবসায়িক সংগঠনের পদধারীদের থেকে যাদের তারা চায়, তাদের নামই সুনির্দিষ্ট করে প্রস্তাব করে পাঠাতে পারে। প্রস্তাবটি অবশ্যই স্টক এক্সচেঞ্জকে করতে হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংস্কারের উদ্দেশ্যেই স্টক এক্সচেঞ্জের পর্ষদ থেকে স্বতন্ত্র পরিচালকদের সরে যেতে বলা হয়েছিল।