বিশ্বে পারমাণবিক বিদু্যৎ উৎপাদন সক্ষমতায় নতুন রেকর্ড

পারমাণবিক বিদু্যৎ উৎপাদনে সক্ষমতা ও প্রযুক্তি উভয় দিক থেকে দ্রম্নত এগিয়ে যাচ্ছে চীন। এক দশকের মধ্যে চীন ৩৯টি চুলিস্ননির্মাণ করেছে, যা দেশটির সক্ষমতা প্রায় চার গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
পারমাণবিক বিদু্যৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে এক দশকে বিশ্বব্যাপী অন্তত ৭০টি চুলিস্নস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক পারমাণবিক বিদু্যৎ উৎপাদন সক্ষমতা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। নতুন করে স্থাপিত চুলিস্নগুলোর প্রায় ৬০ শতাংশেরই অবস্থান চীন ও রাশিয়ায়। অলাভজনক প্রতিষ্ঠান জাপান অ্যাটোমিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফোরাম ও অন্যান্য সূত্রমতে, চলতি বছরের জুন নাগাদ বিশ্বে কার্যকর পারমাণবিক চুলিস্নর সংখ্যা ছিল ৪৩৬। সামগ্রিকভাবে এসব চুলিস্নপ্রায় ৪১৬ গিগাওয়াট বিদু্যৎ উৎপাদনে সক্ষম। ২০১৮ সালেও চুলিস্ন থেকে বিদু্যৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৪১৪ গিগাওয়াট। চীন, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতে এ বছরের জুন পর্যন্ত একটি করে নতুন পারমাণবিক চুলিস্নচালু হয়েছে। এ চুলিস্নগুলোর মোট ক্ষমতা ৪ দশমিক ৫৩ গিগাওয়াট। তবে একই সময়ের মধ্যে রাশিয়ায় একটি ১ গিগাওয়াট ক্ষমতার চুলিস্নবদ্ধ হয়েছে। পারমাণবিক বিদু্যৎ উৎপাদনে সক্ষমতা ও প্রযুক্তি উভয় দিক থেকে দ্রম্নত এগিয়ে যাচ্ছে চীন। এক দশকের মধ্যে চীন ৩৯টি চুলিস্ননির্মাণ করেছে, যা দেশটির সক্ষমতা প্রায় চার গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত মে মাসে চীনের ৫৬তম পারমাণবিক চুলিস্নহিসেবে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গুয়াংশি জুয়াংয়ে ফ্যাংচেংগ্যাং পারমাণবিক বিদু্যৎ কেন্দ্রে চালু হয়েছে। বর্তমানে পারমাণবিক বিদু্যৎ উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীন। এছাড়া উৎপাদনে থাকা পারমাণবিক চুলিস্নর সংখ্যার ক্ষেত্রে দেশটি ফ্রান্সের সমান। অন্যদিকে পারমাণবিক চুলিস্নর সংখ্যার দিকে রাশিয়া ও জাপান এখন সমান। রাশিয়ার ৩৩টি চলমান চুলিস্নর মধ্যে নয়টিই গত ১০ বছরের মধ্যে চালু হয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাস রাশিয়ার অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য। আয় বাড়াতে দেশটি অভ্যন্তরীণ গ্যাস ব্যবহার কমিয়ে আনতে চায়। ফলে আরও বেশি পারমাণবিক বিদু্যৎ উৎপাদনে জোর দিয়েছে তারা। রাশিয়ায় বর্তমানে আরও ১০টি চুলিস্ন নির্মাণাধীন আছে এবং ২০টির বেশি চুলিস্ন পরিকল্পনা পর্যায়ে রয়েছে। কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে আলোচনায় পারমাণবিক শক্তির বিষয়টি প্রায়ই নবায়নযোগ্য জ্বালানির আড়ালে চাপা পড়ে যায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পারমাণবিক শক্তি শূন্য কার্বন নিঃসরণ করে বিদু্যৎ উৎপাদনের একটি স্থিতিশীল উৎস হিসেবে আবারও গুরুত্ব পাচ্ছে।