আদানি গ্রম্নপের সমন্বিত আয় বেড়েছে ৩২.৮৭ শতাংশ
প্রকাশ | ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের আদানি গ্রম্নপ। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সুদ, কর, অবচয় ও অবলোপনপূর্ব সমন্বিত আয় (ইবিআইটিডিএ) ৩২ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২২ হাজার ৫৭০ কোটি রুপি। এছাড়া ১২ মাসের হিসাবে এর আগের একই সময়ের তুলনায় ইবিআইটিডিএ ৪৫ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়ে ৭৯ হাজার ১৮০ কোটি রুপিতে দাঁড়িয়েছে। খবর এনডিটিভি।
আদানি গ্রম্নপের ব্যবসায় প্রধান ভূমিকা পালন করে আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড, আদানি পাওয়ার, আদানি এনার্জি সলিউশন, আদানি টোটাল গ্যাস লিমিটেড ও আদানি পোর্টস অ্যান্ড এসইজেড। অবকাঠামো, জ্বালানি ও পরিবহণ সম্পর্কিত ব্যবসা কোম্পানির সামগ্রিক ইবিআইটিডিএ পোর্টফোলিওতে ৮০ শতাংশ অবদান রেখেছে। এছাড়া সৌর ও বায়ু বিদু্যৎ, বিমানবন্দর, সড়কসহ আদানি গ্রম্নপের উদীয়মান ব্যবসা খাতগুলো সমন্বিত আয়ে ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ অবদান রেখেছে, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আদানি এন্টারপ্রাইজের সোলার প্যানেল বিক্রি বেড়েছে ১২৫ শতাংশ। বিমানবন্দর পরিচালনা ব্যবসায় উলেস্নখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখেছে কোম্পানিটি। এতে ভূমিকা রেখেছে ভারতের আকাশপথে যাত্রী চলাচল, রুট ও ভোক্তা আকর্ষণে দেওয়া অফারগুলোর উলেস্নখযোগ্য বৃদ্ধি। এছাড়া আদানি পোর্টস অ্যান্ড এসইজেডসহ পরিবহণ খাতে সমন্বিত আয় বেড়েছে ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ।
ইউটিলিটি খাতে ৪১ দশমিক ৪৪ শতাংশ ইবিআইটিডিএ বৃদ্ধি নিয়ে আদানি পাওয়ারে ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং আদানি গ্রিন এনার্জির পরিচালন সক্ষমতা ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। আদানি গ্রম্নপ অবকাঠামো উন্নয়নেও অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। এর মধ্যে রয়েছে ট্রান্সমিশন লাইন ও ভিজিনজাম বন্দরের উদ্বোধন।
এদিকে চলতি মাসেই আদানির দিকে নতুন তীর ছুড়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগবিষয়ক গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। নতুন এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, আদানি গ্রম্নপের অফশোর ফান্ডে ভারতের পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার (এসইবিআই) চেয়ারপারসন মাধবী পুরী বুচ ও তার স্বামী ধবল বুচের অংশীদারত্ব ছিল। এ সম্পর্ক আদানির বিরুদ্ধে চলমান তদন্তে প্রভাব ফেলেছে বলে দাবি করে হিন্ডেনবার্গ।