তেলের দাম আবারও কমেছে, চীনের চাহিদা নিয়ে শঙ্কা

সোমবার সকালে এশিয়ার বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশ চীনের চাহিদা নিয়ে উদ্বেগ থাকায় তেলের দাম কমেছে। এ ছাড়া বিনিয়োগকারীরা মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিতে নজর রাখছে। যুদ্ধবিরতি হলে তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে ঝুঁকি কমবে। রয়টার্স জানিয়েছে, এই বাস্তবতায় সোমবার সকালে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৩ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমে ৭৯ দশমিক ৫৫ ডলারে নেমে এসেছে। এ ছাড়া ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড বা ডবিস্নউটিআই ক্রুডের দামও ১৩ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল ৭৬ দশমিক ৫২ ডলারে নেমে এসেছে। তেলের দাম ওঠা-নামার ক্ষেত্রে চীনের চাহিদা বড় অনুঘটক। বছরের প্রথম ভাগে চীনের তেল আমদানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। বছরের বাকি সময়েও সে দেশে তেলের চাহিদা বাড়বে কি না তা নিয়ে সন্দেহ থাকায় গত শুক্রবারও তেলের দাম ২ শতাংশ কমেছে। তবে জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি হ্রাস ও দেশটির মানুষের ভোগ্যব্যয় বেড়ে যাওয়ার খবরে সামগ্রিকভাবে গত সপ্তাহে তেলের দাম অপরিবর্তিত ছিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের চাহিদা নিয়ে শঙ্কা থাকায় অনেক কোম্পানি বাজারে তেল ছেড়ে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণ মৌসুমের চূড়ান্ত সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ায় চাহিদা নিয়ে বাড়তি শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধাবস্থা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবও বাজারে পড়ছে। গত বৃহস্পতিবার চীনের সরকারি তথ্যে জানা যায়, জুলাই মাসে চীনের অর্থনীতি গতি হারিয়েছে। নতুন বাড়ির দাম হ্রাসের হার ছিল গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। শিল্পোৎপাদন হ্রাসের পাশাপাশি বেকারত্বের হারও বেড়েছে। এই বাস্তবতায় চীনের চাহিদা নিয়ে বাজারে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তেল পরিশোধনাগারগুলো তেল পরিশোধন অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিস্নঙ্কেন রোববার তেল আবিবে এসেছেন। তার লক্ষ্য গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে চাপ দেওয়া। কিন্তু হামাসের অভিযোগ, ইসরাইল যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার লক্ষ্যে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর মধ্যস্থতা করছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত হামাস ও ইসরাইলকে এক জায়গায় আনতে পারেনি তারা। সেই সঙ্গে গাজায় ইসরাইলের হামলা চলছেই।