বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ কার্তিক ১৪৩১

বিক্রির চাপে বড় দরপতন

ক্ষমতার পট-পরিবর্তনের পর যে কয়দিন সূচকের পতন হয়েছে, রোববারের পতন সব কর্মদিবসকে ছাড়িয়ে গেছে। এদিন ডিএসইর সূচকের পতন হয়েছে ১২৫ পয়েন্টের বেশি
অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
  ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
বিক্রির চাপে বড় দরপতন

বিক্রির চাপে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর টানা কয়েক দিন শেয়ারবাজারে বড় ধরনের উত্থান দেখা গিয়েছিল।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬ আগস্ট থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত ৪ কর্মদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৭৮৬ পয়েন্ট। পরবর্তী ৫ কর্মদিবস উত্থান-পতনের মধ্যে চলে শেয়ারবাজারের লেনদেন। কোনোদিন দেখা গেছে বড় পতন, আবার কোনোদিন বড় উত্থান।

তবে ক্ষমতার পট-পরিবর্তনের পর যে কয়দিন সূচকের পতন হয়েছে, রোববারের পতন সব কর্মদিবসকে ছাড়িয়ে গেছে। এদিন ডিএসইর সূচকের পতন হয়েছে ১২৫ পয়েন্টের বেশি। এদিন লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩৬৬টি প্রতিষ্ঠানেরই দর কমেছে। বিপরীতে দর বেড়েছে মাত্র ১৮টির। যা আগের পতনের দিনগুলোতে এমন দৈন্যদশা দেখা যায়নি।

অস্বাভাবিক পতনের পেছনে যুক্তিসংগত কোনো কারণ খুঁজে পাননি বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, প্রবাসীরা আমাদের রেমিট্যান্সের বড় সুখবর দিচ্ছেন। পোশাক খাতেও স্থিতিশীলতা ফিরতে শুরু করেছে। প্রশাসনিক পর্যায়েও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরছে। এমন অবস্থায় শেয়ারবাজারে বড় পতনের যৌক্তিক কোনো কারণ তারা দেখতে পারছেন না।

তাদের মতে, এটা বড় বিনিয়োগকারীদের কারসাজি। তারা মাঝে মধ্যেই বড় ঝাঁকুনি দিয়ে শেয়ার সংগ্রহ করে। এখনো তাই করছে। তবে এমন অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। তারা যেন কম দরে শেয়ার ছেড়ে না দেন। কারণ বাজার যেকোনো সময় বড় আকারে ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

রোববার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৭৯ পয়েন্টে। আগের দিন সূচক কমেছিল ৪৯ পয়েন্ট। এদিন ডিএসইতে ৪৮০ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন হয়েছিল ৯৯৯ কোটি ০১ লাখ টাকার। লেনদেন কমেছে ৫১৮ কোটি ১২ লাখ টাকার বা ৫২ শতাংশ।

ডিএসইতে এদিন লেনদেন হওয়া ৩৯৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৮টি বা ৪.৫ শতাংশের। আর দর কমেছে ৩৬৬টি বা ৯১.৯৬ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ১৪টি বা ৩.৫২ শতাংশের।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) রোববার ৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২২৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১৫টির, কমেছে ২০০টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৯টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩১৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬৭১৫ পয়েন্টে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে